বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা না পেয়েই নাকি তার পুত্র আরিয়ানকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়েছিলেন প্রাক্তন এনসিবি অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে। সম্প্রতি সিবিআইয়ের বরাতে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্যই প্রকাশ করেছে ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম।
তবে শুধু ঘুষ নেওয়াই নয়, আরিয়ান কাণ্ডে এক নতুন দাবি করলেন সমীরের প্রাক্তন সহকর্মী আইপিএস অফিসার জ্ঞানেশ্বর সিং।
সমীরের প্রাক্তন সহকর্মী জ্ঞানেশ্বর সিং একটি হলফনামায় জানান, মাদক মামলার এফআইআর-এ শেষ মুহূর্তে ঢোকানো হয়েছে আরিয়ানের নাম। এফআইআর আগে নাম ছিল না শাহরুখ পুত্র আরিয়ানের। শেষ মুহূর্তে বেশ কয়েকটি নাম বাদ দিয়ে নতুন কিছু নাম যোগ করা হয়। যার মধ্যে ছিলেন আরিয়ান ও তার বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট।
সিবিআই সূত্রের খবর, সমীর যে ব্যক্তিগত সম্পত্তি বৃদ্ধি করতে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছিলেন, তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। বহুবার বিদেশে ভ্রমণ, দামি ঘড়ি, বিলাসবহুল জীবনযাত্রার হিসাব মিলেছে। এই জীবনযাপনের সঙ্গে সমীরের আয়ের কোন সঙ্গতি পায়নি সিবিআই। তার পরেই মামলা দায়ের করে সিবিআই।
সম্প্রতি সমীরের বিরুদ্ধে সমন জারি হয়। সেই সময় প্রাক্তন এই অফিসার দিল্লি হাইকোর্টের কাছে সমন তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। যার পরে হাইকোর্ট তার অন্তবর্তীকালীন সুরক্ষা মঞ্জুর করেছিল। তিনি চাইলে মুম্বাই হাইকোর্টেও যেতে পারেন বলে জানিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। সিবিআই জানিয়েছে, ২২ মে পর্যন্ত সমীরের বিরুদ্ধে কোনও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হবে না, যদি সিবিআই এর থেকে তিনি লিখিত অনুমোদন নেন।
২০২১ সালের ৩ অক্টোবরে প্রমোদতরীতে অভিযানের পর এনসিবি দাবি করে, কোকেন, মেফেড্রোন, গাঁজা, এমডিএমএ ট্যাবলেট সহ বাজেয়াপ্ত করেছিল তারা। আরিয়ান খান ছাড়াও আরবাজ খান এবং মুনমুন ধামেচাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে এই মামলায় আরও ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে আদালতে এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনো সঠিক তথ্যপ্রমাণ পেশ করতে পারেননি সমীর। পরে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছিল এই মামলায়।
১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করা হলেও আরিয়ানকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, আরিয়ানের কাছে কোনও মাদক পাওয়া যায়নি। এদিকে সমীর ওয়াংখেড়েকে চেন্নাইয়ের ট্যাক্সপেয়ার সার্ভিসে বদলি করে দেওয়া হয়।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া