
মাদক কাণ্ডে আরিয়ান খানকে মুক্ত করতে শাহরুখ খানের কাছে সমীর ওয়াংখেড়ে ২৫ কোটি দাবি করেন বলে ইতোপূর্বেই অভিযোগ উঠেছে। যারই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি শাহরুখ খানের সঙ্গে সমীর ওয়াংখেড়ের চ্যাটও প্রকাশ্যে আসে। যা নিয়ে শুরু হয়ে যায় তোলপাড়।
প্রকাশ্যে আসা সেই চ্যাটের ভিত্তিতেই রবিবার (২১ মে) নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবির আধিকারিকরা স্পষ্টতই জানিয়ে দিলেন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান কেস কাণ্ডে আইআরএস অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে নিয়ম ভেঙেছেন। তার উচিত হয়নি কোন কেসে অভিযুক্তের পরিবারের সঙ্গে এভাবে কথা বলা।
সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা সিবিআই যখন সমীরের বিরুদ্ধে কিং খানের থেকে টাকা আদায় করার অভিযোগ এনে এফআইআর করে তখন তিনি মুম্বাই হাইকোর্টে তার এবং শাহরুখের মধ্যে হওয়া কথোপকথনের ছবি প্রকাশ্যে এনেছেন নিজের স্বপক্ষে। যার পরই এনসিবির পক্ষে প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে কেন একজন ইনভেস্টিগেশন অফিসার এভাবে কোন অভিযুক্তের পরিবারের সঙ্গে এই ধরনের বার্তালাপে জড়াবেন? কেন তিনি এই বিষয়ে আগে কিছু জানাননি এই ইনভেস্টিগেশনের উর্ধে যারা ছিলেন সেই অফিসারদের, সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এছাড়া সমীরের বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ উঠেছে। তিনি কোর্টের কাছে সেই ফোন জমা দিতে পারেননি যা দিয়ে শাহরুখের সঙ্গে তিনি মেসেজ চালাচালি করতেন। এমনকি তার পর যে অফিসার এই কেসের দায়িত্ব নেন তাকেও নাকি তিনি বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন।

এদিকে এই মামলার জেরে গত ৪ দিন থেকে নাকি সমীর ও তার স্ত্রীকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে দাবী করেছেন সমীর ওয়াংখেড়ে। হুমকির পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের লক্ষ্য করে অশ্লীল মেসেজও করা হচ্ছে বার বার। ফলে মুম্বাইয়ের পুলিশ কমিশনারকে তিনি বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করবেন।
তার গোটা পরিবারের জন্য যাতে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়, সে বিষয়েও তিনি আবেদন করবেন বলে জানান সমীর ওয়াংখেড়ে।
সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে আরিয়ান খান মাদক মামলায় ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে রবিবার (২১ মে) সিবিআই দফতরে গিয়েছিলেন সমীর। এদিন তাকে দ্বিতীয়বারের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর আগে গত শনিবার (২০ মে) টানা ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। সমীর তার বিরুদ্ধে আনা মামলার বিরোধিতা করে ইতোমধ্যেই মুম্বাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। সোমবার এই কেসের পরবর্তী শুনানি আছে বলে জানা গেছে।