পবিত্র ঈদ-উল-আজহার দিন দুর্গম পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন সেনা ক্যাম্পে দায়িত্ব পালনরত সেনাসদস্যদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি রাঙ্গামাটি জেলার পাংখুপাড়া আর্মি ক্যাম্প, রাঙ্গামাটির বাঘাইহাট জোন সদর দপ্তর ও খাগড়াছড়ির দিঘীনালা জোন সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন।
রোববার বিকেলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সেনাবাহিনী প্রধান সেনা সদস্যদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন। তিনি এসব ক্যাম্পে দায়িত্ব পালনরত সেনাসদস্যদের সামগ্রিক খোঁজ খবর নেন। তাদের হাতে তুলে দেন ঈদ উপহারও। নিখাদ আনন্দঘন এমন মুহূর্তে উচ্ছ্বসিত সেনা সদস্যরাও।
সেনাবাহিনী প্রধান প্রথমে রাঙ্গামাটির পাংখুপাড়া আর্মি ক্যাম্পে যান। তিনি সেখান থেকে বাঘাইহাট জোন সদর দপ্তরে যান। সেখানে তিনি বলেন, দুর্গম পাহাড়ে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। তাদের মনোবল বৃদ্ধি করতে ঈদের দিনে তাদের পাশে এসে দাঁড়াতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান ও ধন্য মনে করছি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশে বিদেশে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আত্মীয়স্বজন থেকে দূরে থেকে যারা দায়িত্ব পালন করছেন এই শুভ দিনে তাদের অভিভাবক হিসেবে দেখতে এসেছি।
এসময় তিনি পবিত্র ঈদ-উল-আজহার ত্যাগের মহিমায় সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে আত্মনিয়োগ করতে সেনাসদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, স্থানীয় জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে সেনাবাহিনী যা যা প্রয়োজন সব করবে।
পরে, তিনি বাঘাইহাট জোন সদর দপ্তর হতে দিঘীনালা জোন সদর দপ্তরে যান। সেখানে সৈনিক ও অফিসারদের সাথে মধ্যাহভোজ করেন।
এ সময় ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি, সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, পাংখুপাড়া আর্মি ক্যাম্প, বাঘাইহাট এবং দিঘীনালা জোনের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
ঈদের দিনে দুর্গম পাহাড়ী সেনা ক্যাম্পে সেনাপ্রধানের আগমনে সেনাসদস্য এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মনোবল উঁচু করেছে।
ঢাকাসহ সকল সেনানিবাসে আজ রবিবার যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য এবং আনন্দ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদ-উল-আজহা পালিত হয়। সকালে সেনাবাহিনী প্রধান ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন এবং সেখানে সেনাবাহিনীর সকল স্তরের অফিসার, জেসিও এবং অন্যান্য পদবির সৈনিকদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।