চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

এই মানুষটিকে বাঁচানোর দায় আমাদেরও আছে: অর্ক

ক্যানসারের থার্ড স্টেজে ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’র তাপস দাস, তাকে বাঁচাতে অর্ক মুখার্জীর আহ্বান

বাংলা ব‍্যান্ডের জনক বলা হয় ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’কে। সত্তর থেকে নব্বইয়ের দশকে আধুনিক বাংলা গানের ধরন বদলে দিয়েছিলো গানের এই দলটি। এই দলের সবচেয়ে পুরনো ঘোড়াদের একজন তাপস দাস। যিনি সবার কাছে বাপী দা নামেই পরিচিতি। তিনি ভালো নেই।

‘মহীনের ঘোড়াগুলি’র অন‍্যতম প্রতিষ্ঠাতা তাপস দাস বাপী গুরুতর অসুস্থ। দুরারোগ‍্য ক‍্যানসারে আক্রান্ত তিনি। ৬৮ বছর বয়স প্রবীণ এই শিল্পীর চারটি কেমোথেরাপি নেওয়া হয়েছে আগেই। সম্প্রতি তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে খবর।

তাপস দাসের চিকিৎসায় প্রচুর অর্থ প্রয়োজন। এরইমধ্যে তার চিকিৎসার জন‍্য অনুদান সংগ্রহও শুরু হয়েছে। তাকে সারিয়ে তুলতে চিকিৎসার জন‍্য পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার ভক্তরা। সোশ‍্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ‍্যেই অনুদান সংগ্রহের ডাক উঠেছে।

যে উদ্যোগের সামিল হলেন পশ্চিম বঙ্গের মেধাবী সংগীতশিল্পী অর্ক মুখার্জীও। মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাপস দাসের শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে অর্ক বলেন,“যাদের গান ‘সুদিন কাছে এসো ভালোবাসি একসাথে সবকিছুই’ তাদেরই বাপিদা আজ অসুস্থ। মহিনের ঘোড়াগুলির এই তাপস দাস, বাপিদা কে- তার পরিচয় আমি করিয়ে দেব এত বড় কেউ আমি নই। লাং ক্যান্সার থার্ড স্টেজ, খেতে পারছেন না স্বাভাবিক পদ্ধতিতে।”

তাপস দাসের স্ত্রী সুতপার বরাতে অর্ক এসময় আরও লেখেন, ‘বাপীদা বেশ কিছু কেমো নিয়েছেন। এখন রেডিয়েশন নেবার মতন অবস্থায় নেই। খেতে পারছেন না স্বাভাবিক ভাবে। ওজন কমে পয়ত্রিশ কিলোয় নেমে এসেছে।’

তাপস দাসের চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহের কথা জানিয়ে অর্ক আরও লিখেন,‘আমরা বন্ধুরা একটি অনলাইন ফান্ড্রেসার অর্গানাইস করবো দ্রুতোই এক সপ্তাহের মধ্যে। বাজে ভনীতা করে আর পলিটিকাল/এপলিটিকাল কুৎসিত ট্রোলবাজি না করে যদি পারেন আমার আপনার সামান্য ছোট ছোট কান্ট্রিবিউশন পাঠাতে শুরু করুন। খরচ অনেক। ঐ যে গানটা আপনাকে রাতে দিনে ভাবিয়েছে, তারও মূল্য অনেক। সে কথা ভেবে এগিয়ে আসুন।

অর্ক বলেন,‘অন্য কে কী করেছে না করেছে তার জন্য না ভেবে যদি সত্যিই কোনোদিন ভেবে থাকেন ‘কোথায় রয়েছে ভাবি লুকিয়ে বিষাদ তবুও’- তবে মনে রাখবেন একটু একটু করে হলেও এই মানুষটিকে বাঁচানোর দায় আমাদেরও আছে।’