বাংলাদেশের প্রথম কোনো অভিনেতা হিসেবে হলিউডের শিল্পীদের সংগঠন ‘স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড’ (স্যাগ) এর সদস্য হলেন আনিসুর রহমান মিলন। এই অভিনেতা চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, ২০২২ সালের মে মাসে তিনি স্যাগ-এর সদস্যপদ পেয়েছেন।
এই সংগঠনের সদস্য হতে তাকে সহযোগিতা করেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান পরিচালক আসিফ আকবর, যিনি ‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’ ছবিটি পরিচালনা করেছেন।
স্ত্রী পলি আহমেদের ক্যানসার রোগে আক্রান্ত হওয়া এবং পরলোকগমনের ফলে গত দেড় বছর যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন আনিসুর রহমান মিলন। তিনি বলেন, আমেরিকান নাগরিক এবং সেখানে কাজের ওয়ার্ক পারমিট আছে এমন শিল্পীরা এর সদস্য হতে পারেন। সদস্য করার আগে তারা আমার আইএমডিবি, গুগল এবং অনলাইনে সার্চ করে দেখেছেন আমি অভিনেতা হিসেবে পপুলার কিনা। তারা সবকিছু দেখেই আমার মেম্বারশিপ দিয়েছেন এবং স্বার্থ সিদ্ধিতে পাশে থাকবেন।
উদাহরণ টেনে ভার্সেটাইল এই অভিনেতা বলেন, যদি আমি শুটিংয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ি স্যাগ থেকে প্রডাকশন কোম্পানিকে নোটিশ করবে। ইভেন আমি যদি অসুস্থ হয়ে যাই তাহলে স্যাগ থেকে ক্লেইম করবে। এছাড়া যত বছর আমি অভিনয় করবো, স্যাগে একটি অর্থ জমা হবে। ৬৫ বছর বয়সের পরে আমি অবসরে গেলে তারা পেনশন হিসেবে দেবে এবং অসুস্থ হলে পাশে থাকবে। আনুষাঙ্গিক সকল সুবিধাগুলো এই স্যাগ দেখবে।
আনিসুর রহমান মিলন বলেন, এই মেম্বারশিপটি আরও ম্যাচিউর হবে যখন সামনে আরও কিছু কাজ করবো। আসিফ আকবরের পাশাপাশি আমেরিকান প্রডাকশন কোম্পানি আল ব্রাভো এই কাজটি করতে সহযোগিতা করেছে। একজন শিল্পী হিসেবে আমি মনে করি এটা অনেক বড় প্রাপ্তির।
দেড় বছর দেশে না থাকলেও কাজের মধ্যেই ছিলেন আনিসুর রহমান মিলন। আমেরিকাতে ‘এমআর নাইন’ করতে গিয়ে ব্যক্তিগত জীবনে একটি দুর্ঘটনা আসে। তার সন্তান সেখানকার সিটিজেন। তাকে নিয়ে দেশে এসেছেন। সেপ্টেম্বরের শেষে আবার যাবেন মার্কিন মুলুকে।
আনিসুর রহমান মিলন বলেন, আমেরিকা থাকলেও কাজের মধ্যে ছিলাম। সেখানে থেকে আরও দুটি ছবিতে কাজ করেছি। ‘বোনইয়ার্ড’ নামে একটি ছবিতে কালজয়ী ‘ব্রেভহার্ট’ খ্যাত তারকা মেল গিবসনের সঙ্গে ছবি করেছি, আরেকটি ‘ফ্ল্যাশ ইট’ নামে ছবি করেছি, যেখানে কলোম্বোর অভিনেত্রী আছেন। বাংলাদেশ আমেরিকা মিলিয়ে বসবাস করবো। কারণ সন্তান সেখানে লেখাপড়া করবে। তাই নাটক কমিয়ে বছরে দুটো ছবি এবং কিছু ওটিটি’র কাজ করবো যা, কোয়ালিটিফুল।