রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ভিডিও শেয়ারের মাধ্যমে প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকা আয় করছেন পুতিন সমর্থকরা। মূলত বিজ্ঞাপন শেয়ার করার মাধ্যমে তারা এই টাকা আয় করছেন বলে জানা গেছে।
রাশিয়ান সেনাবাহিনীর সাথে যুক্ত হয়ে খুব কাছ থেকে ড্রোন হামলার ভিডিও ধারণ করেন রাশিয়ান সমর্থকরা। আর এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে নিজেদের অনুসারীর সংখ্যা বাড়ায় তারা।
শনিবার ২ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, যুদ্ধের ভিডিও ছাড়াও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সম্পর্কেও মিথ্যা তথ্য ছড়ায় তারা।
এসব ভিডিও শেয়ারের মাধ্যমে নিজেদের অনুসারীর সংখ্যা বাড়িয়েছেন তারা। আর এর মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে ফ্যাশন পর্যন্ত যেকোন কিছুর বিজ্ঞাপন শেয়ার করেন। যার অনুসারী যত বেশি সেই অনুপাতে টাকাও আয় করেন এই সকল প্রভাবশালীরা।
রাশিয়ায় ‘জেড-ব্লগার’ নামে পরিচিত কয়েকজন ব্লগার রাশিয়ান সেনাবাহিনীর সাথে যুক্ত হয়ে খুব কাছ থেকে ভিডিও সংগ্রহ করেন। পরে তা তাদের সাইটে বিজ্ঞাপনসহ পোস্ট করেন।
২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর পর দেশটিতে ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক এবং টুইটার নিষিদ্ধ করেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর থেকেই মূলত লাখ লাখ অনুসরণকারী পায় টেলিগ্রাম। আর এর মধ্য দিয়ে টেলিগ্রামের বিজ্ঞাপনের বাজারে উত্থান ঘটায়।
এর সুযোগ নিয়েছে যুদ্ধের প্রভাবশালীরা, ভিডিও শেয়ারের মাধ্যমে যারা অর্জন করেছে লক্ষ লক্ষ অনুসারী। তারা তাদের শ্রোতাদের জন্য কোম্পানিগুলোর বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে।
তাদের মধ্যে একজন আলেকজান্ডার কোটস। তার ব্যক্তিগত টেলিগ্রাম চ্যানেলে ছয় লাখেরও বেশি অনুসারী রয়েছে। তিনি বলেন, বিজ্ঞাপনটি তার টেলিগ্রাম ফিডের শীর্ষে কতক্ষণ রাখা হবে তার উপর নির্ভর করে তাকে অর্থ প্রদান করা হয়। তিনি জানান, তার চ্যানেলে প্রতি পোস্টে ৬০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হয়।
ওয়ারগঞ্জো নামে পরিচিত সেমিয়ন পেগভ তাদের একজন। তিনি রাশিয়ানদের কাছে সুপরিচিত ‘জেড-ব্লগার’দের একজন, যার ১.৩ মিলিয়নের বেশি অনুসারী রয়েছে। তিনি বলেন, তাকে প্রতি পোস্টের জন্য দিতে হয় দু’লাখ টাকারও বেশি।
যুদ্ধের শীর্ষ প্রভাবশালীরা প্রতিদিন অন্তত একটি বিজ্ঞাপন পোস্ট করেন। আর যাতে তাদের গড় আয় বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭৬ হাজার টাকা।
বিজ্ঞাপন