ইমরান খানের সাজা স্থগিত করলেন পাকিস্তান হাইকোর্ট

তোষাখানা মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের তিন বছরের কারাদণ্ডের রায় স্থগিত করেছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি)। এছাড়াও তার মুক্তির আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, ইসলামাবাদ হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক ও বিচারপতি তারিক মেহমুদ জাহাঙ্গীরির সমন্বয়ে গঠিতে একটি ডিভিশনাল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

গত শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে ইমরান খানের আপিলের শুনানির কথা ছিল। কিন্তু মামলার প্রতিপক্ষ পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) আইনজীবী অসুস্থ হওয়ায় শুনানি পেছানো হয় তখন।

শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ফারুক বলেন, ‘আদেশের কপি খুব শিগগির প্রকাশ করা হবে। আমরা এখন যা বলতে চাই তা হচ্ছে, ইমরান খানের আবেদন গৃহীত হয়েছে।’

তোষাখানা মামলায় গত ৫ আগস্ট পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ইসলামাবাদের একটি আদালত। পরে তাকে নির্বাচনে অযোগ্য বলেও ঘোষণা দেয় ইসিপি। আদালতের সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। সুপ্রিম কোর্টের কাছে অতিরিক্ত ও দায়রা জজ (এডিএসজে) হুমায়ুন দিলাওয়ারের রায় স্থগিতের আবেদন জানায় দলটি।

এর আগে তোষাখানা মামলার রায় ঘোষণার আধা ঘণ্টার মধ্যেই ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয় তার লাহোরের জামান পার্কের বাড়ি থেকে। সেখান থেকে তাকে নেওয়া হয় কারাগারে। এর পর থেকে সেখানেই আছেন তিনি। ইমরান খানকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তর করার আবেদন জানিয়েছে তার দল পিটিআই। সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা, সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থান বিবেচনায় তাকে কারাগারে প্রথম শ্রেণির সুবিধা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের করা এই মামলায় ইমরানের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে পাওয়া উপহার রাষ্ট্রীয় তোষাখানায় জমা না দিয়ে বিক্রির অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ইমরান খানইমরান খান গ্রেফতারপাকিস্তান