রাজনীতির সূত্রে অমর সিং, অমিতাভ বচ্চন ও জয়া বচ্চন একসময় কাছের বন্ধু ছিলেন। তবে তাদের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আর সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার পেছনের অন্যতম কারণ হলো অমর সিং একাধিকবার বচ্চন পরিবারের গোপন তথ্য ফাঁস করেছিলেন।
নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে অমিতাভ যখন তার ক্যারিয়ারের কঠিন সময় পার করছিলেন, তখন অমর সিং-এর সঙ্গে তার পরিচয়। অমিতাভকে ঋণ থেকে মুক্ত করে ক্যারিয়ার চাঙ্গা করতে সাহায্য করেছিলেন অমর সিং। জয়া বচ্চনকেও রাজনীতিতে প্রবেশের সুযোগ করে দিয়েছিলেন তিনি। ১৯৯৮ সালে অমিতাভ বচ্চন রাজ্যসভায় নির্বাচিতও হয়েছিলেন অমিতাভ। ২০০৪ সালে নির্বাচিত হন জয়া বচ্চন। ২০১০ সালের পরে বচ্চনদের সঙ্গে অমরের সম্পর্ক নষ্ট হওয়া শুরু হয়। সেই সময়ে শোনা গিয়েছিল বচ্চন পরিবারের কাছ থেকে নিয়মিত অর্থ চাইতেন অমর সিং। শুধু তাই নয়, রাজনীতিতে নাম পাওয়ার জন্য বচ্চন পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে চলতেন তিনি।
২০১৭ সালে বচ্চন পরিবার সম্পর্কে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন অমর সিং। এক পত্রিকায় প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে জানান জনসমক্ষে একসাথে থাকলেও আসলে স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক প্রায় নেই বললেই চলে অমিতাভের। পাশাপাশি, পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়াকে নিয়েও পরিবারে চলে অশান্তি। তিনি বলেন, ‘আমি যখন বচ্চনদের সঙ্গে পরিচিত হই, অমিতাভ ও জয়া আলাদা বাড়িতে থাকতেন। একজন থাকতেন প্রতীক্ষাতে, অন্যজন জনক-এ। আমি যখন তাদের বন্ধু ছিলাম, তখনও তারা আলাদাই থাকতেন।’
অমর সিং-এর এই মন্তব্যের আগে অমিতাভ-জয়ার দাম্পত্য এবং বচ্চন পরিবারকে ‘পারফেক্ট’ মনে করতেন ভক্তরা। এই বক্তব্যের পরেই জয়া ও ঐশ্বরিয়ার দ্বন্দ্ব এবং অমিতাভ-জয়ার মাঝের দূরত্ব নিয়ে শুরু হয় কানাঘুষা।
২০২০ সালে প্রয়াত হন অমর সিং। মৃত্যুর কয়েক মাস আগে অমিতাভ বচ্চন ও তার পরিবারের সঙ্গে নষ্ট হয়ে যাওয়া সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করেছিলেন রাজ্য সভার সাবেক সাংসদ অমর সিং। সেই সঙ্গে অতীতে অমিতাভ এবং বচ্চন পরিবার সম্পর্কে নিজের অতিরিক্ত আবেগতাড়িত আচরণের জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশও করেন। মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার পরে নতমস্তক ছবি টুইট করে প্রাক্তন বন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা ও শোক প্রকাশ করেছিলেন অমিতাভ।
সূত্র: কইমই