আইস্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে ভিকি জাহেদ এর ৮ পর্বের সিরিজ “আমি কী তুমি”। সিরিজটির নাম যেমন রহস্যময় তেমনি রোমাঞ্চকর। প্যারালাল ইউনিভার্সের যে গল্প তুলে ধরেছেন সিরিজে তা না দেখলে বোঝার উপায় নেই।
সিরিজের গল্প এগিয়েছে তিথি নামের মেয়েকে ঘিরে। যার নায়িকা হবার যাত্রায় পরিচয় হয় বেশকিছু মানুষের সাথে। কিন্তু সবাই কি তার আমি না তুমি? তিথির হাতে অতিথির মতন চলে আসা ক্রিস্টাল বল দিয়ে তিথি চলে যায় কোন জগতে? কি’ই বা আছে সেখানে?
সিরিজের প্রথম ২ পর্ব দেখার সময় মনে হয় গতানুগতিক কোনো প্রেম-রোমান্সের গল্প। তবে, যেভাবে গল্পের টার্ন নিয়ে রহস্যের বেড়াজালে আবদ্ধ হয় তা অবিশ্বাস্য। এর আগে, প্যারালাল দুনিয়ার গল্প নিয়ে ওটিটিতে একটি কাজ হয়েছে কিন্তু সেখানে সবকিছু আবছায়া ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু ভিকি জাহেদ তার সুনিপুণ নির্মাণে পুরো আবহ তৈরি করেছেন।
মেহজাবীন চৌধুরী কি দুর্দান্ত মাপের অভিনেত্রী তা সিরিজ না দেখলে বোঝা যাবে না। তার অভিনয়ের যে মোহনীয় ক্ষমতা তা মুগ্ধ করবেই। নিজেকে দিন কে দিন যেন ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। একই মানুষ যে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজের সেরাটা দেন তা সিরিজটা দেখলে বোঝা যাবে। রাহাত চরিত্রে জুনায়েদ বোগদাদি ও বিশেষ এক চরিত্রে শ্যামল মাওলা দারুণ অভিনয় করলেন। শ্যামল মাওলার চরিত্রটা বিশেষ বিধায় বেশকিছু বলা গেল না তবে যারা দেখবেন অবাক হবেন। ফজলুর রহমান বাবু, তারিক আনাম খান, ওয়াহিদা মল্লিক জলি এবং স্পেশাল এপিয়ারেন্স এ সাদিয়া ইসলাম মৌ মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন।
সিরিজের সবচেয়ে ভালো ছিল সিনেমাটোগ্রাফি। এমন সুন্দর গল্পে সিনেমাটোগ্রাফি হওয়া উচিত মজবুত ও নমনীয়। দুই ইউনিভার্সের যে আবহ ক্রিয়েট করেছে চিত্রগ্রাহক বিদ্রোহী দীপন তা কাজে পরিলক্ষিত। এডিটিং দুর্দান্ত হয়েছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক সমান তালে গতি বাড়িয়েছে।
সিরিজ নিয়ে নেতিবাচক দিক নেই বললেই চলে। ডাবিং এর যে হালকা সমস্যা তা দৃষ্টিকোণ থেকে গোচর করাই যায়। তবে, এত বড় দৈর্ঘ্যর এই সিরিজটা কেউ দেখতে বসলে না দেখে উঠতে পারবেন না এটা বিশ্বাস করি। এমন দারুণসব সিরিজ ও কাজের ধারা অব্যাহত থাকুক।
লেখক: জনি মিয়া