বল হাতে নিজের দায়িত্বে অবিরামভাবে সফল, ব্যাট হাতে ফিনিশিংটাও দিচ্ছেন দারুণ। ফিল্ডিংয়েও রাখছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। অথচ দলের বাকি খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে আড়ালে পড়ে যাচ্ছে রবীন্দ্র জাদেজার অবদান। বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কথা বলেছেন টিম ইন্ডিয়ার কোচ রাহুল দ্রাবিড়।
চলতি ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতের জার্সিতে পঞ্চম বোলারের ভূমিকায় বেশ সফল জাদেজা। আট ম্যাচে পেয়েছেন ১৪ উইকেট। ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পেয়েছেন চারবার। ৫৫.৫০ গড়ে ১১৫.৬২ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১১১ রান।
দ্রাবিড় বলেন, ‘আমরা যদি পরিসংখ্যান ও ডাটা দেখি, সে এই টুর্নামেন্টে ব্যতিক্রমী ছিল। আমাদের সিমাররা এতটাই চমৎকার ছিল যে জাড্ডু (জাদেজা) এবং কুলদ্বীপ যাদবের পারফরম্যান্স সম্ভবত কিছুটা নজরে পড়েনি।’
‘আমি মনে করি, কখনো কখনো সামান্য ভেজা বলেও তাকে সামর্থ্যের ভেতর বোলিং করতে হয়। কারণ মাঠে শিশির পড়ার জন্য বল কিছুটা ভেজা ছিল। মাঝের ওভারগুলোতে আমাদের দলের জন্য সে নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে, এটা দারুণ।’
‘তিন বা চারটি ম্যাচ ব্যাট করতে না পারা অবস্থায় সাতে নম্বর পজিশনে ক্রিজে নেমে প্রতিবার বেশ গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলতে হবে। তার মতো কারোর পক্ষে ব্যাপারটা সহজ না।’
‘এরপর তার ফিল্ডিংটা অবিশ্বাস্য। পয়েন্ট অঞ্চলে তার মতো কাউকে পাওয়াটা চমৎকার ব্যাপার। আমাদের জন্য সে সত্যিই দুর্দান্ত অলরাউন্ড প্যাকেজ। সত্যিই একটি দুর্দান্ত টুর্নামেন্ট পার করেছেন। কিছুটা হলেও সবার আড়ালে চলে গেছে।’
ভারতের কোচের এসব কথার পরদিনই সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাট হাতে ১৫ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায় ২৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন জাদেজা। বল হাতে বিধ্বংসী হয়ে তুলে নেন ৫ উইকেট। প্রোটিয়ারা মাত্র ৮৩ রানে অলআউট হয়। ভারত ২৪৩ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায়।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের পরও ম্যাচ সেরার পুরস্কার ৩৪ বর্ষী অলরাউন্ডারের হাতে ওঠেনি। মাস্টার ব্লাস্টার শচীন টেন্ডুলকারের ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ৪৯ সেঞ্চুরির রেকর্ড ছুঁয়ে ১২১ বলে ১০১ রানে অপরাজিত থাকা বিরাট কোহলি হন ম্যান অব দ্য ম্যাচ।