চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

চরমপন্থীদের পুনর্বাসনে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেছেন: সর্বহারা ও চরমপন্থীদলের যে সকল সদস্য আত্মসমর্পণ করেছে, তাদের আর্থিক সহযোগিতা থেকে শুরু করে সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো পর্যালোচনা করে আইনী পদক্ষেপসহ দায়মুক্তির ব্যবস্থা করা হবে।

রোববার ২১ মে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানায় র‌্যাব-১২ এর সদরদপ্তরে  অস্ত্রসহ সর্বহারা ও চরমপন্থী দলের তিন শতাধিক নেতা ও সদস্যের আত্মসমর্পন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ৮০’র দশক থেকে সিরাজগঞ্জসহ দেশের উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ পশ্চিম কয়েকটি জেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকায় সর্বহারা ও চরমপন্থীরা এসব এলাকায় ঘাটি তৈরি করে। পরে ১৯৯৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ‘সন্ত্রাসের জীবন ছাড়ি-আলোকিত জীবন গড়ি’ শ্লোগানে সর্বহারা চরমপন্থীরা আলোর পথে ফিরে আসেন। এ অঞ্চলেও সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের কাছে শতাধিক সর্বহারা-চরমপন্থী আত্মসর্মপন করেছে।

পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (এমএল), লাল পাতা ও সর্বহারাসহ বেশ কয়েকটি চরমপন্থী দলের ৩১৫ সদস্যের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘কেউ যদি মনে করেন, আমরা দুর্গম এলাকায় বসে থাকব, অপরাধ করব। আর আপনারা ধরতে পারবেন না, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন’।

তিনি বলেন, র‌্যাবকে সর্বোচ্চ আধুনিকায়ন করা হয়েছে। র‌্যাব যে কোন সময় যে কোন স্থানে মুহূর্তে অভিযান পরিচালনা করতে পারবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, র‌্যাব নানাবিধ ভালো কাজ করে যাচ্ছে। তারা জনগনের আস্থা অর্জন করেছে। এ জন্যই চরমপন্থীরা আত্মসমর্পণের জন্য র‌্যাবের সাথে যোগাযোগ করেছে। র‌্যাব আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি মাদক ও সন্ত্রাস নির্মুলে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি নানান মানবিক কার্যক্রমও পরিচালনা করছে।

সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী ও টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকার চরমপন্থী নেতা ও সদস্যদের অন্ধকার থেকে আলোতে ফেরাতেই র‌্যাবের উদ্যোগে এমন আয়োজন করায় র‌্যাবকে ধন্যবাদন জানান তিনি।

র‌্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেনের সভাপতিত্বে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমেদ এমপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ মহা-পরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, র‌্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, র‌্যাব-১২ এর অধিনায়ক অ্যাডিশনাল ডিআইজি মারুফ হোসেন, সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কে. এম হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ তালুকদার, সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়,  সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, সিরাজগঞ্জ-৩ (তাড়াশ-রায়গঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. আব্দুল আজিজ, সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম, সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের সংসদ সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানসহ র‌্যাব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।