চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

সিনেমায় নায়ক আলমগীরের ৫০ বছর

বাংলা চলচ্চিত্রকে যারা একইসঙ্গে অভিনয়, নির্মাণ ও প্রযোজনা দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন তাদেরই একজন নায়ক আলমগীর। কয়েক দশক ধরে অসাধারণ অভিনয় সত্তায় মুগ্ধ করেছেন দর্শকদের। জুটি বেঁধেছেন শাবানা, ববিতা, কবরীসহ আরও অনেক অভিনেত্রীর সঙ্গে। সবক্ষেত্রেই নিজের সেরাটা দিয়েছেন ক্যামেরার সামনে।

২৪ জুন তার জীবনের একটি বিশেষ দিন। এদিন দেশের চিরসবুজ এই নায়কের অভিনয় জীবনের সুবর্ণ জয়ন্তী পূর্ণ হচ্ছে। ৫০ বছর আগে, ১৯৭২ সালের এই দিনে আলমগীর কুমকুম পরিচালিত ‘আমার জন্মভূমি’ চলচ্চিত্রের জন্য প্রথমবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। সে কারণে এই দিনটি আলমগীর ভক্ত এবং বাংলা চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির জন্য বিশেষ!

Bkash July

ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর ঠিক পরের বছর ২৪ অক্টোবর একসাথে মুক্তি পেয়েছিলো মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ‘আমার জন্মভূমি’ এবং ‘দস্যুরানী’ নামের দুটি ছবি। ঈদের দিন ছিলো।

মাত্র ২২ বছর বয়সে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন আলমগীর। বাকি ৫০ বছর ধরে চলচ্চিত্রের সাথেই আছেন। জীবনের সিংহভাগ সময় অভিনয়কে দেয়ার পরও নায়ক আলমগীরের নিজেকে নিয়ে মন্তব্য, ‘এখনো সুঅভিনেতা হতে পারিনি। কারণ শিল্পী হওয়া এত সহজ নয়। অভিনয়ে পূর্ণমান ১০০-তে নিজেকে পাস মার্কস দিতে রাজি; এর বেশি নয়’।

Reneta June

১৯৫০ সালের ৩ এপ্রিল কিংবদন্তীতুল্য গুণী এ অভিনেতা জন্ম গ্রহণ করেন। বাবা কলিম উদ্দিন আহম্মেদ ওরফে দুদু মিয়া ছিলেন ঢালিউডের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ এর অন্যতম প্রযোজক।

১৯৮৫ সালে ‘মা ও ছেলে’ সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন এ নায়ক। বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সহ আজীবন সম্মাননা পদক পাবার রেকর্ড নায়ক আলমগীরেরই রয়েছে।

কেবল অভিনেতা হিসেবে নয়, পরিচালক হিসেবেও পরিচিত তিনি। ১৯৮৬ সালে তিনি প্রথম ‘নিষ্পাপ’ নামের একটি সিনেমা নির্মাণের মধ্য দিয়ে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তার নির্মিত সর্বশেষ সিনেমা হচ্ছে ‘একটি সিনেমার গল্প’।

Labaid
BSH
Bellow Post-Green View