বিবাহিত জীবনের ১৬ তম বছর পার করেছেন বলিউডের অন্যতম আলোচিত ও জনপ্রিয় দম্পতি ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও অভিষেক বচ্চন। দীর্ঘদিনের তাদের এই দাম্পত্যের সম্পর্ককে ঘিরে নানান সময়ই শোনা গেছে, ‘তারা নাকি সুখী নন।’
শুধু তাই নয় জনসমক্ষে অমিতাভ ও জয়ার আদর্শ পুত্রবধূ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করলেও প্রায়ই শোনা যায় শাশুড়ি জয়া বচ্চন ও ননদ শ্বেতা বচ্চনের সঙ্গে নাকি তেমন ভালো সম্পর্ক নয় ঐশ্বরিয়ার। তবে কি সম্পর্কের সমীকরণে কোনো সমস্যা দেখা দিয়েছে বচ্চন পরিবারে?
২০০৭ সালে একে অপরকে ভালোবেসে রূপকথার গল্পের মত বিয়ে করেছিলেন আলোচিত এই জুটি। সে বছর বলিউডের সব থেকে আলোচিত ইভেন্ট ছিল সেটি। তাদের বিয়ে নিয়ে কৌতূহলের অন্ত ছিল না দর্শকদের। কেননা অভিষেক বিয়ে করেছিলেন বলিউডের প্রথম সারির নায়িকা ঐশ্বরিয়াকে।
কিন্তু সেটিই যেন কাল হয়েছিল ঐশ্বরিয়ার জন্য। বচ্চন পরিবারে বিয়ের পরেই যেন নিজের পরিচয় হারাতে থাকেন এই অভিনেত্রী। বিয়ের পর থেকেই তাকে ডাকা হয় ‘বচ্চন বধূ’ নামে। আর তাতেই আপত্তি জানান অভিনেত্রী।
২০০৮ সালে একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীকে ‘বচ্চন বধূ’ সম্বোধন করায় আপত্তি জানান ঐশ্বরিয়া। তার কাছে এই সম্বোধনটি বেশ নাটুকে বলেই মনে হয়। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয়, এই ধরনের বিশেষণ চটকের জন্য ব্যবহার করা হয়। ‘বচ্চন বধূ’ তকমাটা একটু নাটুকে। আমি একজন সাধারণ মেয়ে। নাম ঐশ্বরিয়া রাই। যে অভিষেক বচ্চনকে বিয়ে করেছে।’
জুটিবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন অভিষেক-ঐশ্বরিয়া। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘ধাই অক্ষর প্রেম কে’ (২০০০), ‘কুছ না কাহো’ (২০০৩), ‘উমরাও জান’, ‘ধুম টু’ (২০০৬), ‘গুরু’ (২০০৭) এবং ‘রাবণ’ (২০১০)। ‘উমরাও জান’ ছবির সেট থেকেই শুরু হয় তাদের প্রেমের গল্প।
সূত্র: আনন্দবাজার