যাদের ক্যারিয়ার লম্বা সময়ের, যারা ক্রমাগত দারুণ সব কাজ উপহার দেন, কাজে যিনি নিজস্ব স্বাক্ষর ফুটিয়ে তুলতে পারেন- ক্যামেরার পেছনে থাকলেও তারকা অভিনয়শিল্পীর মতো তাদেরকেও এক নামেই চেনেন দর্শক! তেমনই একজন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। অথচ গত চার মাস তিনি ছিলেন কাজ থেকে দূরে!
হ্যাঁ, দুই দশকের ক্যারিয়ারে এর আগে এতো লম্বা সময় নির্মাণের বাইরে থাকার অভিজ্ঞতা প্রায় নেই বললেই চলে! সেই চার মাসের অভিজ্ঞতা তিনি ভাগ করে নিয়েছেন চ্যানেল আই অনলাইনের সাথে।
‘বিশ্বসুন্দরী’ খ্যাত এই চলচ্চিত্র নির্মাতার ভাষ্য, “নির্মাণ থেকে দূরে থাকা এই চার মাস আমার জীবনে নানা কারণেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকবে। কেননা এই চার মাস আমি নিজেকে প্রতি মুহূর্তে উপলব্ধি করার চেষ্টা করেছি। নিজের সাথে কথা বলেছি। একটু পেছনে ফিরে তাকানোর চেষ্টা করেছি। আমার ক্যারিয়ারের দিকে চোখ বোলানোর চেষ্টা করেছি। পরিবারের সদস্যদের সময় দিয়েছি,সাধারণত নির্মাণে ডুবে থাকার ফলে সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত হয় পরিবার। বলা যায়, কাজের বাইরে থাকলেও এই চার মাস আমি ইতিবাচক ভাবেই গ্রহণ করেছি।”
চার শতাধিক নাটকের এই নির্মাতা বলেন, অনেক পরিচিত মানুষকে দেখেছি রঙ বদলে অচেনা হয়ে যেতে। তবে এতে আমার রাগ বা ক্ষোভ নেই। কারণ তারচেয়ে ঢের বহু সংখ্যক ভালো মানুষের দেখা পেয়েছি এই সময়ে। যাদের সঙ্গে সেই অর্থে পরিচয় ছিলো না, এমন দারুণ সব মানুষদেরও আশীর্বাদ পেয়েছি। আসলে সৃষ্টিকর্তার কৃপা যদি সঙ্গে থাকে, তাহলে সবকিছু উতরে যাওয়া সম্ভব।
চার মাস বিরতির পর আবারও নির্মাতার আসনে! ২৭ অক্টোবর চয়নিকা শুটিং শুরু করছেন নতুন নাটক ‘স্বাতী নক্ষত্রের আলোয়’ এর। ইফফাত আরেফিন মাহমুদের রচনায় যে নাটকটি প্রযোজনা করেছেন খান মোহাম্মদ বদরুদ্দিন ও জায়েদ বাংগালী। গত দুদিন নগরীর উত্তরা ও মিরপুর ডিওএইচএসে দৃশ্যধারণের কাজ হয়েছে। এতে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, মডেল-অভিনেত্রী সাদিয়া ইসলাম মৌ, শবনম ফারিয়া, সামিয়া মহসিন প্রমুখ।
এতোদিন পর ক্যামেরার পেছনে, কিছুটা কি নার্ভাস ছিলেন চয়নিকা? এমন প্রশ্নে তিনি জানান, একদম। সত্যিই প্রথমে খুব নার্ভাস লাগছিলো, পরে আমার নাটকের আর্টিস্টদের সহযোগিতা ও আন্তরিকতায় ক্ষাণিকের নার্ভাসনেস কাটিয়ে উঠেছি। তারিক ভাই, মৌসহ সবাই মানসিকভাবে প্রচণ্ড সমর্থন দিয়েছেন। তাদের প্রতি ভালোবাসার শেষ নেই। বিশেষভাবে আমি আমার টিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। সহকারী পরিচালক সুব্রত মিত্র ও অমিতাভ আহমেদ রানাকে ধন্যবাদ, এই সময়ে তারা যে সমর্থন আমাকে দিয়েছেন- তা ভুলবার নয়।
নাটকের গল্প নিয়ে জানতে চাইলে নির্মাতা জানালেন, এই নাটক নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না। কারণ এর গল্পটাই ম্যাজিক! চয়নিকা জানালেন, দুদিন শুটিং হয়েছে, আর একদিন শুটিং করলেই কাজ শেষ হবে। ৩ নভেম্বর সেটিও শেষ করতে চান।