জনশূন্য নগরীতে ময়লার আস্তরণ। নোংরা কাপড়ে ভিলেনের অট্টহাসি। ঠিক যেন যেন ময়লা ও মলিনতার কাছে জিম্মি এক অসহায় শহর। ঘোড়ায় চড়ে ধবধবে সাদা পোশাকে আগমন এক কাউবয়ের!
এমন দৃশ্য কেউ দেখলে প্রথমে হয়তো ওয়েস্টার্ন সিনেমার সেট ভেবে ভুল করাটা অস্বাভাবিক নয়! কখনও মনে হবে দৃশ্যটি ‘গুড, ব্যাড, এন্ড দ্য আগলি’ বা ‘ফর অ্যা ফিউ ডলার্স মোর’ বা হাল সময়ের ‘জ্যাংগো আনচেইন’ এর!
তবে মজার ব্যাপার হলো, কাউবয় ভঙ্গিতে মলিন নগরীর দিকে এগিয়ে আসা নিশোর কোমরে পিস্তলের বদলে গুঁজা থাকে ডিটারজেন্ট পাউডার!
মূলত এটি একটি বিজ্ঞাপনের শুটিং, আর বিজ্ঞাপনটি ডিটারজেন্ট পাউডারের! যেখানে নিশো হলেন মিস্টার হোয়াইট! তার যুদ্ধ চারপাশের ময়লা-মলিনতার বিরুদ্ধে। ফিরিয়ে আনতে চান হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা।
সেই তরুণ তার জাদুকরী শক্তি দিয়ে সব ময়লা মলিনতা দূর করে বের করে আনেন রঙিন এক শহর, মানুষের কাপড়ে ফিরে আসে উজ্জ্বলতা, মনে ফিরে আসে আনন্দ। এটি একটি বিজ্ঞাপনচিত্রের গল্প। এক মিনিটের এই বিজ্ঞাপনে দুর্দান্তভাবে ধরা দিলেন আফরান নিশো।
কয়েক দিন ধরে টিভি চ্যানেল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপনচিত্রটি নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হচ্ছে। নিশোর ভক্তকুল ছাড়াও সাধারণ দর্শকরা এর প্রশংসা করছেন। সবমিলিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দতে নিশো মানে মি. হোয়াইট।
বিজ্ঞাপনটিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে আফরান নিশো বলেন, ‘এই টিভিসিটার গল্প বলার ধরন বেশ ইউনিক। কোনো ডিটারজেন্টকে যে এ রকম স্টাইলিস ওয়েতে পোট্রে করা যায় এটা আসলে এর আগে কখনো দেখা যায়নি।’
কাজী এন্টারপ্রাইজেস লিমিটেডের মি. হোয়াইট ডিটারজেন্ট পাউডারের এই বিজ্ঞাপনচিত্রটি নির্মাণ করেছেন ওয়াহিদ তারেক। এর নেপথ্য কারিগর বিজ্ঞাপনী সংস্থা প্যাপিরাস কমিউনিকেশনস লিমিটেড।
প্রতিষ্ঠানটির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কাজী মুশফিকুর রহমান বলেন, এই বিজ্ঞাপনটা আমাদের জন্য ছিল এক নতুন অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশে এ রকম কনসেপ্টে কাজ এর আগে হয়েছে কি-না আমার জানা নেই। এটাকে আমি আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য একটা মাইলস্টোন কাজ-ই বলবো।