
বাংলা সিনেমায় বিরল দৃষ্টান্ত তৈরী করেছে মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’! সিনেমাটি দেখতে মানুষের মধ্যে যে আগ্রহ তৈরী হয়েছে, এটিকে নজিরবিহীন বলছেন সিনেপ্রেমী মানুষেরা। ২৩টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমাটি প্রথম দিনে সবগুলো প্রেক্ষাগৃহে ছিলো হাউজফুল! আগামি কয়েক দিনের টিকেট নেই সিনেপ্লেক্সগুলোতে।
তবে ‘হাওয়া’ নিয়ে দর্শকের আগ্রহের চূড়ান্ত দেখা গেছে নারায়ণগঞ্জে! শুধু আগামি কয়েক দিনের নয়, চলতি সপ্তাহের সবগুলো শো’য়ের টিকেট বিক্রি সম্পন্ন হয়েছে নারায়ণগঞ্জের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সীমিত আসনের আধুনিক প্রেক্ষাগৃহ ‘সিনেস্কোপ’-এ। চ্যানেল আই অনলাইনকে এমনটাই জানালেন সিনেস্কোপ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্মাতা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান।
শনিবার দুপুরে তিনি জানান, ‘হাওয়া’ নিয়ে মানুষের এমন আগ্রহ তার কাছে বিস্ময়ের! এরআগে এমন দৃশ্য তিনি দেখেননি বলেও জানান। নুরুজ্জামান বলেন, সিনেস্কোপ এ আমরা দিনে চারটি শো পরিচালনা করি। শুক্রবার সকাল ১১টার শো থেকে শুরু করে সবগুলো শো’ ছিলো হাউজফুল। এমনকি আগামি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সবগুলো শোয়ের অগ্রিম টিকেট বিক্রি সম্পন্ন হয়েছে। এমন ঘটনা সিনেস্কোপের ইতিহাসে আর ঘটেনি।
আধুনিক এই প্রেক্ষাগৃহের প্রতিষ্ঠাতা আরও জানান, চলতি সপ্তাহের টিকেট বিক্রি সম্পন্ন হয়েছে বিধায় পরের সপ্তাহের টিকেট নিতেও দর্শক সিনেস্কোপে আসছেন। বাংলা সিনেমার জন্য এমন দৃশ্য অভাবনীয়। তিনি বলেন, ‘অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে তৃতীয় সপ্তাহেও হাওয়া চালাতে হবে’।

তিনি মনে করেন, ‘হাওয়া’ নিয়ে পুরো টিম যেভাবে পাব্লিসিটি করেছে, সেজন্যই দর্শক সিনেমাটি দেখতে এতোটা উদগ্রীব! নারায়ণগঞ্জে এতো মানুষ সিনেমাটি দেখতে আসার কারণ হিসেবে তিনি আরও বলেন, ‘হাওয়া’র যে গানটি দিয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, সেই ‘সাদা সাদা কালা কালা’র স্রষ্টা হাশিম মাহমুদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ। এ কারণেও এখানকার মানুষ সিনেমাটি নিয়ে একটু বেশি আগ্রহী!
কথায় কথায় তিনি জানালেন, হাশিম মাহমুদকেও সিনেস্কোপে এনে পরিবার সহ ‘হাওয়া’ দেখানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন। মানুষের হিড়িক একটু কমলে হাশিম মাহমুদকে নিরিবিলি এনে সিনেমাটি দেখাতে চান। কারণ এই গীতিকার ও সুরকার এখন খুব বেশি মানুষের উপস্থিতিতে আসতে চান না!