ধর্ষণ মামলার আসামিকে বিচারিক আদালতের দেওয়া খালাসের রায় বাতিল করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সেই সাথে ধর্ষণের শিকার ভিকটিমের শিশুটির ভরণ পোষণ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৩ ধারা অনুসারে প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিচারিক আদালতের রায় বাতিল চেয়ে বাদীর (ভিকটিম) করা আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রায় দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল শরীফুজ্জামান মজুমদার। আর আবেদনকারী ভিকটিমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আক্তারুজ্জামান।
এই মামলার এজাহার থেকে জানায়, বিয়ের কথা বলে ভিকটিমকে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের টিলাগাঁও এলাকার ছিদ্দিক আলীর ছেলে কাছুম আলী ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে ২০০৫ সালের ৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ সেন্ট্রাল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেস্ট করান তিনি। টেস্টে গর্ভে সন্তান থাকার বিষয় নিশ্চিত হন। গর্ভধারণের পর কাছুম আলী তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। এরপর ২০০৬ সালের ২১ জুলাই কাছেম আলীর বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি। এরই মধ্যে ভিকটিম একটি সন্তানের জন্ম দেন। একপর্যায়ে এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জিয়া উদ্দিন মাহমুদ আসামীকে খালাস দেন। সেই রায় বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ভিকটিম।