এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের পর সাকিব আল হাসানের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আবাহনী লিমিটেড। টানা ১৪ ম্যাচ জিতে অপরাজিত থেকেই শিরোপা অক্ষুণ্ণ রাখল আকাশী-নীল দলটি। শেষের দুটি ম্যাচ আবাহনীর জন্য এখন কেবল আনুষ্ঠানিকতার।
জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য জাতীয় দলে ১০ ক্রিকেটার চলে যাওয়ায় খেলোয়াড় সংকটে পড়েছিল আবাহনী। বাধ্য হয়ে নতুন খেলোয়াড়দের নামিয়ে দেয়া হয় ঐতিহ্যবাহী দলটিতে। তারপরও সাকিবদের হারাতে খুব বেশি চাপে পড়তে হয়নি।
বিকেএসপিতে ২৬৮ রানের লক্ষ্য আবাহনী অতিক্রম করে এক বল ও চার উইকেট হাতে রেখে। শেষদিকের কঠিন লড়াইয়ে সফল অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ৫৪ বলে ৫৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে এনে দেন জয়।
৮৮ বলে ৮৩ রানের ইনিংস খেলে আফিফ হোসেন ধ্রুব জয়ের পথ সহজ করে দেন। এনামুল হক বিজয় ৬৭ রান করতে ৮০ বল খেলেন।
শেষ ওভারে ৯ রান ডিফেন্ড করতে না পারা শফিকুল ইসলাম নেন দুটি উইকেট। সাকিব ১০ ওভারে ৩৪ রানে নেন একটি উইকেট।
একমাস পর ব্যাট হাতে তুলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন সাকিব। বিরতি কাটিয়ে লিগে ফেরার ম্যাচে ১ রানের জন্য পাননি ফিফটি। আবাহনীর বিপক্ষে সাকিব যখন ব্যাটিংয়ে নামেন, ১৫ রানে ৩ উইকেট নেই শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের। সৈকত আলিকে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেন ৭২ রানের জুটি গড়ে।
সৈকত ৪১ রানে আউট হন। দলীয় সংগ্রহ একশ পেরিয়ে যাওয়ার পর তানজিম হাসান সাকিবের বলে আউট হন সিনিয়র সাকিব। ৫৬ বলের ইনিংসে মারেন ৩টি ছয়, ২টি চার।
অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান করেন ৪১ রান। লড়াকু সংগ্রহের মূল কারিগর জিয়াউর রহমান। ৫৮ বলে ৮৫ রানের ইনিংস খেলেন ৮টি ছয় ও ৬টি চারের সাহায্যে। তাতে ৫০ ওভারে শেখ জামাল ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬৭ রান তোলে।
তানজিম সাকিব ও রাকিবুল হাসান তিনটি করে উইকেট নেন। নাহিদুল ইসলাম নেন দুটি উইকেট।