পুলিশের গুলিতে ১৭ বছরের এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফ্রান্সে চতুর্থ দিনের মতো চলছে বিক্ষোভ। এমন অবস্থায় দেশটির কয়েকটি শহরে জারি করা হয়েছে কারফিউ এবং আটক করা হয়েছে আরও এক হাজার বিক্ষোভকারীকে।
বিবিসি জানিয়েছে, তুমুল বিক্ষোভের মুখে ফ্রান্স প্রশাসন পরিস্থিতি মোকাবেলায় হিমশিম খাওয়ায় দেশটির ডানপন্থি দলগুলো জরুরি অবস্থা জারির জন্য ফরাসি সরকারকে চাপ দিচ্ছে। ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্ন বলেছেন, সব পদক্ষেপের ব্যাপারেই ভেবে দেখা হচ্ছে।
বিক্ষোভ পরিস্থিতি সামাল দিতে ৪৫ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করেছে ফ্রান্স। রাস্তায় নামানো হয়েছে সাঁজোয়া যান, বন্ধ রয়েছে গণপরিবহণ। এমন অবস্থায় শিশুদের বিক্ষোভে না আনতে আহ্বান জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং দেশটির মন্ত্রীরা। পরিস্থিতি মোকাবেলার উপায় নিয়ে আলোচনার জন্য প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ জরুরি বৈঠক করেছেন।
ফ্রান্সের কিছু কিছু শহরে সান্ধ্যকালীন কারফিউ দেওয়া হয়েছে। তবে ফ্রান্সে শেষ পর্যন্ত জরুরি অবস্থা জারি হলে কর্তৃপক্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ ক্ষমতা পাবে। তখন সরকার কারফিউ জারির পাশাপাশি সভা-সমাবেশও নিষিদ্ধ করতে পারবে।