চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন এবং বাসসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দু’টি মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রতি মামলায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং প্রায় ৫শ’ শিক্ষার্থীকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
জানা যায়, শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে করা দু’টি মামলার একটির বাদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ। আরেকটির বাদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত নিরাপত্তা কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাটল ট্রেন ক্যাম্পাস অভিমুখে আসার সময় ফতেয়াবাদ স্টেশনের কাছাকাছি ছাদে থাকা ১৫ জন শিক্ষার্থী গাছের ডালের সাথে বাড়ি খেয়ে আহত হন। পরে ট্রেনটি ক্যাম্পাসে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা ট্রেন থেকে নেমে জিরো পয়েন্টে মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন শুরু করে। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। তারা উপাচার্যের বাসভবন, শিক্ষক ক্লাব ভাঙচুর এবং অন্তত ৭০টি বাস ভাঙচুর করে। এঘটনার পর থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।