ভিয়েতনামে মহামারি চলাকালীন বিভিন্ন দেশে থাকা ভিয়েতনামের নাগরিকদের উদ্ধার ফ্লাইটে করে দেশটিতে ফিরিয়ে আনার সময় গণহারে ঘুষ গ্রহণ ও দুর্নীতির মামলায় বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং একজন প্রাক্তন মন্ত্রীসহ মোট ৫৪ জনকে কারাদণ্ড প্রদান করেছে দেশটির আদালত।
বিবিসি জানিয়েছে, প্রায় দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বিচার চলার পর গতকাল (২৮ জুলাই) শুক্রবার ঘুষ গ্রহণ, প্রস্তাব দেওয়া বা জড়িত থাকা, জালিয়াতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে বেশ কয়েকজন সিনিয়র কূটনীতিক এবং একজন প্রাক্তন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ মোট ৫৪ জন কর্মকর্তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ভিয়েতনামের হ্যানয়ের আদালত।
বিচারে ইতিমধ্যেই একজন সাবেক মন্ত্রীকে ৯ লাখ মার্কিন ডলার বা ১০ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে ১৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের চারজন প্রাক্তন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দশজন ব্যবসায়ী ও বেসামরিক ব্যক্তিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ভিয়েতনাম সরকারের একটি বড় দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের তদন্তের পর আদালত এই সিদ্ধান্তে আসে।
ভিয়েতনামের ডেপুটি হেলথ মিনিস্টারের সাবেক সেক্রেটারি ফাম ট্রুং কিয়েন এবং সাবেক ডেপুটি মিনিস্টার টো আনহ ডং কেলেঙ্কারিতে ধরা পড়া সবচেয়ে হাই প্রোফাইল নাম। প্রসিকিউটররা কিয়েনের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছিলেন কারণ তিনি মাত্র ১১ মাসের মাথায় ২৫৩টি ঘুষ গ্রহণ করেছেন যার মূল্য ১ দশমিক ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ১৫ কোটি টাকা। পরে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
২০২০ সালের শুরুর দিকে মহামারির সময় ভিয়েতনাম সরকার কর্তৃক প্রায় ৮০০টি ফ্লাইট পরিচালিত হয়। তখন দেশটি তাদের নিজেদের নাগরিক ছাড়া প্রায় সমস্ত ভ্রমণকারীদের জন্য তাদের সীমানা বন্ধ করে দিয়েছিল। ঠিক ওই সময় প্রত্যাবর্তনকারীরা ভিয়েতনামে প্রবেশের জন্য জটিল পদ্ধতি, টিকিটের চড়া দাম এবং কোয়ারেন্টাইন চার্জের মুখোমুখি হয়।