কক্সবাজারের উখিয়ায় ইফতারের সময় ভুল করে ‘ব্যাটারির পানি খেয়ে’ অসুস্থ চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় ইফতারের সময় উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের গয়ালমারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অসুস্থরা হলো- নাজির হোসেনের ছেলে নুরুল হাকিম (১৮), মৃত আশু মিয়ার ছেলে নুরুল বশর (৩২), মৃত সোনা মিয়ার ছেলে আব্দুল কাদের (৩২) ও ইমাম শরীফের ছেলে ইসহাক আহমদ (৬২)।
অসুস্থ সবাই নিকটাত্মীয় ও প্রতিবেশী।
অসুস্থদের স্বজনের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হুদা বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের গয়ালমারা স্টেশনে স্থানীয় একটি টমটমের (ইজিবাইক) গ্যারেজে দোকান মালিক ও কর্মচারিরা ইফতারের আয়োজন করে। এতে ভুলঃবশত ব্যাটারির পানি নিয়ে শরবত তৈরি করে। ইফতারের সময় ওই শরবত তারা পান করে। ইফতারে অংশ নেওয়া ৪ জন সামান্য করে শরবত খাওয়ার পরে বুক জ্বালা-পোড়া ও বমি করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ৪ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান।
অসুস্থ নুরুল হাকিম বলেন, বুধবার রাতে দোকানের মালিক এক শিশু কর্মচারিকে পরদিন (বৃহস্পতিবার ) ইফতারের সময় শরবত তৈরির জন্য এক বোতল পানি পাশের দোকানে ফ্রিজে রাখতে বলেন। এসময় ওই শিশুটি ইজিবাইক (টমটম ) গ্যারেজের ব্যাটারির পানি ভুলে করে ফ্রিজে রেখে আসে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইফতারের আগে শরবত তৈরির জন্য ফ্রিজে রাখা বোতলটি আনা হয়। যথারীতি ঠাণ্ডা পানির ওই বোতলটিতে লেবু, চিনি ও ট্যাং দিয়ে শরবতও তৈরি করা হয়।
অসুস্থের এ স্বজন বলেন, ‘পরে ইফতারের সময় হলে বোতলের তৈরি শরবত একে একে ৪ জনই পান করেন। এতে প্রত্যেকে কয়েক চুমক শরবত পান করে ভিন্ন স্বাদের মনে হওয়ায় অবশিষ্টগুলো রেখে দেন। এক পর্যায়ে তাদের বুকে জ্বালা-পোড়া ও বমি শুরু হলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন।’
অসুস্থ ইসহাক আহমদের ভাগ্নে মিন্টু চৌধুরী বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪ জনের মধ্যে দু-জনের কিছুটা কম হলেও অপর দু-জনের অবস্থা গুরুতর। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তারা আশংকামুক্ত রয়েছেন।