রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সাত দিনব্যাপী বাংলাদেশ-ভারত নাট্যোৎসবের কল্যাণী সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা সাতটায় ভারতের মিসফিট নাটকের মধ্য দিয়ে এই নাট্যোৎসব শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, নাট্যকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান, অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক আরিফ হায়দার প্রমুখ।
উপ-উপাচার্য বলেন, নাটক হচ্ছে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশাল বড় একটা শিল্প যা মানবিক সত্তার বিকাশ ঘটায়। নাটক বাঙালি সাংস্কৃতিকে তার জায়গা থেকে উচ্চ শিখরে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। মানুষকে তার নিজের প্রকৃতি সম্পর্কে ভাবতে শেখায়। নাটক হচ্ছে জীবনের একটা বাস্তব প্রতিচ্ছবি।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমরা বাঙালি আমাদের সত্তা বাঁচিয়ে রাখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা আমাদের করতে হবে। আজকাল সংস্কৃতির এই বিরাট অঙ্গনে সংস্কৃতি চর্চার লোক আর দেখা যায় না। বাঙালির সংস্কৃতিতে দিন দিন ঢুকে পরেছে পশ্চিমা প্রভাব। তবে নাটক চর্চা এখন বাংলাদেশে সংস্কৃতির একটা বড় অংশ। তাই শিক্ষার্থীদের এই নাট্যোৎসবের মধ্য দিয়ে তাদেরকে সাংস্কৃতিমনা করতে হবে।
নাট্যকলা বিভাগের সভাপতি আতিউর রহমান বলেন, আমরা শুধু চাই শিক্ষার্থীরা তাদের সাংস্কৃতিতে মনোনিবেশ করুক। সমাজের বর্তমান ও অতীত কাঠামো নাটকের মধ্যে তুলে ধরে তাদের মনকে জাগ্রত করার চেষ্টা করছি। নাটক সমাজের দর্পন হিসেবে কাজ করে এর মাধ্যমেই ফুটে উঠে সমাজের বাস্তব চিত্র। তাই দুই বাংলার নাটকের মধ্য দিয়ে আমরা এই নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছি।’
গত ১ এপ্রিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের উদ্যোগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ও ভারতীয় হাইকমিশনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ-ভারত নাট্যোৎসব শুরু হয়। এ উৎসবে বাংলাদেশ ও ভারতের মোট ১৩টি নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। ভারতের লোককৃষ্টি দলের মিসফিট নাটক মঞ্চায়নের মধ্যদিয়ে সাত দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের সমাপনী হয়।