রাজধানীর বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ এলাকাগুলো মোটর সাইকেল চোর চক্রের মূল টার্গেট বলে জানিয়েছে ডিবি পুলিশ।কারণ এ সকল এলাকায় মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের মোটর সাইকেলসহ আরও মোটর সাইকেল সাড়িবদ্ধভাবে রাখা থাকে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান ডিএমপির গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম-কমিশনার মো. আব্দুল বাতেন।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতভর কামরাঙ্গীরচর, নিউমার্কেট ও ডেমরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৮ চোরাই মোটর সাইকেলসহ ৯জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবির পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগ।
ডিবির পশ্চিম বিভাগ ১২টি চোরাই মোটর সাইকেলসহ রাজিব মুন্সি, আব্দুর রহিম, জাকির হোসেন ও মোক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। তবে ডিবির পূর্ব বিভাগ গ্রেফতারদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার বলেন, মোটর সাইকেল চোর চক্রের মূল টার্গেট হলো মেডিকেল কলেজ এলাকাগুলো। কারণ এ সকল এলাকায় মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের মোটর সাইকেলসহ আরও মোটর সাইকেল সাড়িবদ্ধভাবে রাখা থাকে। এতো মোটর সাইকেলের মধ্যে কেউ খেয়াল করতে পারে না, আর তখনই তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে চুরি করে।
এই চক্রটি মাদারীপুর শিবচর, শরীয়তপুর ভবেরচর, নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে চোরাই মোটর সাইকেলগুলো রেখে বিক্রি করে। বিক্রির জন্য তাদের অন্য আরেকটি দল কাজ করে। আমরা গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে এ চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিআরটিএ এর কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজোশে এই চক্রটি মোটর সাইকেলের নতুন নম্বর বানিয়ে বিক্রি করে। তবে চেসিসের নম্বরের সঙ্গে নম্বর প্লেটের কোন মিল থাকে না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বিআরটিএ এর যোগসাজোশের ব্যাপারটি তদন্ত করে দেখছি। আসলেই কোন কর্মকর্তা জড়িত নাকি দালালরা হুবহু কাগজপত্র বানিয়ে চোর চক্রকে দিচ্ছে সেটি তদন্ত করে দেখছি।
কম দামে মোটর সাইকেল কেনার আগে সকল কাগজপত্র যাচাই করে কেনার জন্য গ্রাহকদের পরামর্শ দিয়ে আব্দুল বাতেন বলেন: অনেকেই কম দামে মোটর সাইকেল পেয়ে কিনে থাকেন। তারা সাধারণত মোটর সাইকেলের কাগজপত্র যাচাই করে দেখেন না। এমনটি হলে গ্রাহকরা আইনী জটিলতায় পড়তে পারেন। কারণ আমরা যখন অনুসন্ধান করে একটি চোরাই মোটর সাইকেল খুজে বের করি তখন দেখা যায় এর মালিক বলেন- আমি তো মোটর সাইকেলটি অন্য আরেকজনের কাছথেকে কিনেছি কম দামে। তখন যার কাছথেকে ওই ব্যক্তি মোটর সাইকেল কিনেছেন তাকে খুজে বের করি। এরা দুইজনই কিন্তু অপরাধী। কিন্তু মূল অপরাধী হচ্ছেন, যে চুরি করেছেন।