চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সম্ভাবনাময় স্টার্টআপ খুঁজতে আবারও ‘আইটি ইনকিউবেটর’

তথ্যপ্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতির ছোঁয়ায় প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে বিশ্ব। এ ছোঁয়া লেগেছে বাংলাদেশেও। বর্তমানে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে তরুণরা।

যেকোন ধরনের নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে তরুণদের আগ্রহই সবচেয়ে বেশি এবং তরুণরাই প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্যোগ সবচেয়ে বেশি নিয়ে থাকে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে এমনকি বিভিন্ন দেশীয় ও বহুজাতিক প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানেও প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছে আমাদের তরুণরা।

অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যার দিক থেকে সমগ্র বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। যেহেতু দেশের সামগ্রিক অবকাঠামো এখনো তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে অনুকূল নয়, তাই বলা যায় তরুণরা অনেকটা নিজেদের প্রচেষ্টাতেই এ ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছে। এর ফলে গড়ে উঠছে বহু প্রযুক্তিভিত্তিক স্টার্টআপ।

বিভিন্ন উদ্ভাবনী পরিকল্পনা নিয়ে শুরু করলেও বেশিরভাগই সাফল্যের মুখ দেখতে পারে না। এর পেছনে কিছু নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। প্রথমত, স্টার্টআপগুলোর পরিচালনায় থাকা তরুণদের উদ্ভাবনী পরিকল্পনা থাকলেও সেগুলো সঠিকভাবে প্রয়োগ করার মতো অভিজ্ঞতা তাদের থাকে না। দ্বিতীয়ত, একটি প্রযুক্তিভিত্তিক পরিকল্পনাকে বাস্তবায়নের জন্য যে অর্থনৈতিক ভিত্তি থাকা প্রয়োজন তাও অনেক তরুণ উদ্যোক্তার থাকে না।

বর্তমানে প্রযুক্তি খাতের অনেক বড় প্রতিষ্ঠানই তরুণ উদ্যোক্তাদের বিকাশে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। ২০১৬ সালে সরকারের আইসিটি বিভাগের বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের সহযোগিতায় ‘আইটি ইনকিউবেটর’ নামে এমনই একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে বাংলালিংক। প্রযুক্তিভিত্তিক স্টার্টআপগুলো অবকাঠামোগত সুবিধা ও বিশেষজ্ঞদের সার্বিক তত্ত্বাবধানের সুযোগ পেয়ে থাকে আইটি ইনকিউবেটরে। ব্যবসায়িক সম্ভাবনা রয়েছে, এমন স্টার্টআপের জন্য বিনিয়োগের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয় এখান থেকে।

২০১৬ সালে প্রায় ৪০০ স্টার্টআপের মধ্যে থেকে সেরা দশটিকে বাছাই করে এক বছরের জন্য সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হয় জনতা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের আইটি ইনকিউবেটরে। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর শুরু হতে যাচ্ছে আইটি ইনকিউবেটরের দ্বিতীয় পর্ব। এবারও প্রাথমিক পর্বে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে সেরা এবং সম্ভাবনাময় স্টার্টআপগুলোকে দেওয়া হবে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা।

আইটি ইনকিউবেটরের দ্বিতীয় পর্ব সম্পর্কে বাংলালিংকের কর্পোরেট কমিউনিকেশনস বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক অংকিত সুরেকা চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: আইটি ইনকিউবেটরের প্রথম পর্বের সাফল্যে আমরা সত্যিই অনুপ্রাণিত হয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের প্রক্রিয়ায় তরুণদের সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে বাংলালিংক এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, প্রথমবারের মতো এবারের পর্ব থেকেও আমরা সম্ভাবনাময় অনেক প্রযুক্তিভিত্তিক স্টার্টআপকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিতে পারব।