চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক ঘটনায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে সমাজের সর্দার, দোকানদার ও কিশোর নিহত হয়েছেন। রোববার সন্ধ্যা ৬ টার থেকে রাত ৯টার মাঝে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার ২ নম্বর বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের পশ্চিম লালানগর মৌলভী পাড়া এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত মুজিবুল হক সুবেদারের ছেলে নুরুল মোস্তফা বজলু (৫৫), ১০ নম্বর ছলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গল ছলিমপুর এলাকার মো. সবুজের ছেলে কিশোর ইমন (১৫) এবং ৮ নম্বর সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বার আউলিয়া গামারিতল এলাকার আবুল হাসেম মাস্টার বাড়ির মৃত আফাজ উল্লাহ’র ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৫) নিহত হন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ২ নম্বর বারৈয়াঢালা ছোট দারোগারহাট পশ্চিম লালানগর এলাকার দীর্ঘদিন মৌলভী পাড়ার সমাজের দায়িত্ব পালন করে আসছেন নিহত নুরুল মোস্তফা বজল।
সেই সময় মসজিদ ও সামাজিক কিছু বিষয় নিয়ে নিজ মামাতো ভাই তৌহিদের সাথে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। দ্বন্দ্বের জেরে তৌহিদও সমাজচ্যুত ও এলাকা ছাড়া ছিল। রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিহত বজলু মৌলভী পাড়া দোকানের সামনে বসে সমাজের লোকদের সাথে কথা বলার সময় একটি সিএনজি অটো-রিক্সার করে এসে তৌহিদসহ ৪/৫ সন্ত্রাসী উপযুপরি কোপাতে থাকে বজলুকে। পরে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে দ্রুত পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
সন্ধ্যার ৭টায় উপজেলার ১০ নম্বর ছলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গলছলিমপুর দুই নং সমাজ এলাকায় কিশোর ইমনে সহপাঠির সাথে খেলা নিয়ে বিরোধের জের ধরে গাছ দিয়ে ইমনের মাথায় গাছ দিয়ে বাড়ি দিয়ে হত্যা করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মুন্না, শাহিন ও আল আমিনসহ তিনজনকে আটক করে।
অপর দিকে উপজেলার ৮ নম্বর সোনাইছড়ি ইউনিয়নের গামারিতল এলাকায় দোকানদার মো. আলমগীর হোসেনের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে আলমগীরকে উপযুপরি চুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আলমগীরকে উদ্ধার করে ভাটিয়ারিস্থ বিএসবি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা এসব হত্যাকাণ্ডের অনুসন্ধানে নেমেছি।