তারুণ্যের আঠারো পেরিয়ে যৌবনের উনিশে যাত্রা শুরু করলো দেশের প্রথম ডিজিটাল বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল, চ্যানেল আই। প্রতিষ্ঠার প্রথম প্রহরে কেক কাটার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় দিনব্যাপী নানান বর্ণিল আয়োজনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন।
প্রথম প্রহর থেকে শুরু করে পুরোদিনের আয়োজনে অংশ নেন দেশের সাংস্কৃতিক, আইনজ্ঞ, সুশীল সমাজের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনীতিবিদরাও।
রাজনীতিবিদদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো: আসাদুজ্জামান খান কামাল, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এডভোকেট জয়নুল আবেদীন, বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহীম প্রমুখ।
বিশিষ্ট এই রাজনীতিবিদদের প্রত্যাশা অতীতের মতো আগামী দিনেও চ্যানেল আই সৃষ্টিশীলতার আগ্রযাত্রায় ভূমিকা রেখে যাবে এবং দেশের পক্ষে কথা বলবে।
যেমনটা বলছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো: আসাদুজ্জামান খান কামাল, ‘বাংলাদেশের সবার হৃদয় জুড়ে চ্যানেল আই রয়েছে। চ্যানেল আই উনিশ বছরে পদার্পণ করলো। আমরা মনে করি চ্যানেল আই তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে। বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবার জন্য যে প্রচেষ্টা, এটা যথার্থভাবে চ্যানেল আই চালিয়ে যাচ্ছে এবং চালিয়ে যাবে।”
সকালে চ্যানেল আইকে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার আমির-উল-কবির বলেন, “চ্যানেল আই গৌরবের ১৮ বছর পেরিয়ে আজ যৌবনে পা রাখল। শুরু থেকে চ্যানেল আই একেবারে ঘোষণা দিয়েই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলে যাচ্ছে। এভাবে সরাসরি ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে জাতির সামনে তোলে ধরার চ্যালেঞ্জ নিয়েছে চ্যানেল আই, যা বিরল। শাইখ সিরাজ ও ফরিদুর রেজা সাগর যেভাবে কাজ করে চলেছে তা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। দেশের জন্য চ্যানেল আই’র এই অনবদ্য অবদানে কৃতজ্ঞতা জানাই এবং শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাচ্ছি।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি চ্যানেল আইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন,“উনিশে পা দিয়েছে চ্যানেল আই এবং তার জনপ্রিয়তা আঠারো গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা দোয়া করি সামনে আরো আরো অনেক বেশি জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাক দেশ এবং বহির্বিশ্বে”।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ১৮ বছর থেকে চ্যানেল আই ১৯ এ পা রাখল। চ্যানেল আই পরিবারের সকল কলাকুশলী, শুভাকাঙ্ক্ষী সহ সকলের জন্য শুভকামনা। তারা যদি ১৮ বছরের আগে ফিরে তাকায় তাহলে গৌরববোধ করতেই পারে। তারা গর্বের সঙ্গে দাবি করতে পারে, চ্যানেল আই এ দেশের জন্য কিছু করেছে। চ্যানেল আই ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’ স্লোগান নিয়েছে। আমি বলবো, বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে চ্যানেল আই আছে।
শনিবার দুপুরে চ্যানেল আইকে শুভেচ্ছা জানাতে এসে দেশের জনগণের পক্ষে চ্যানেল আই পূর্বের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করবে এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস চ্যানেল আইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘রাষ্ট্রীয়, জাতীয়, সংস্কৃতি রাজনীতি ও সামাজিক সকল ক্ষেত্রে অনবদ্য অবদান রাখছে চ্যানেল আই। সামাজিক ক্ষেত্রে বিশাল যোগাযোগ স্থাপন করতে সমর্থ হয়েছে চ্যানেল আই। সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে। আগামীতেও একই ধারা অব্যাহত থাকুক, শুভকামনা চ্যানেল আইয়ের জন্য।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, চ্যানেল আই মানে রাজনীতির কথা বলে, কৃষির কথা বলে, আইনের শাসনের কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক চ্যানেল আইয়ের।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্র রক্ষার পথে চ্যানেল আই পূর্বের মতো অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।