লক্ষ্মীপুর সদর ও রায়পুরে পৃথক দুর্ঘটনায় মাইক্রোচালক রাতুল (২৮) ও মোটরসাইকেল চালক তানিম (২১) নামে দু’জন নিহত হয়েছে। সোমবার নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর মহাসড়কের মান্দারী বাজারের পূর্বে ও রায়পুরের ভূঁইয়া রাস্তার মাথা এলাকায় এ দু’টি ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে মাইক্রোচালক রাতুল কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার হারুয়া গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে। তানিম লক্ষ্মীপুরের রায়পুর বুলেট মাইকের সত্বাধিকারী মিজানুর রহমান বুলেটের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, চৌমুহনী থেকে থেকে ছেড়ে আসা লক্ষ্মীপুর অভিমুখি একটি ট্রাকের সাথে বিপরীতমুখি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে দু’টি গাড়ির সামনের অংশ প্রায় সম্পূর্ণ দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মাইক্রোচালক রাতুলের মৃত্যু হয়। অপরদিকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌর শহরের ৫নং ওয়ার্ডস্থ জনতা বাজার হইতে মোটরসাইকেলযোগে রায়পুর যাওয়ার পথে ঢাকা-রায়পুর আঞ্চলিক মহাসড়কে বিপরীত দিক থেকে ছুটে আসা সিএনজিচালিত অটোরিক্সার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটে। এতে মোটরসাইকেলসহ চালক রাস্তার পার্শ্ববর্তী খালে ছিটকে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আশংকাজনক অবস্থায় রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তানিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ট্রাক ও মাইক্রোবাস, সিএনজি এবং মোটরসাইকেল পুলিশ জব্দ করেছে। লাশ দু’টি ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃতদেহ দু’টি পুলিশের হেফাজতে আছে। ট্রাকচালক পলাতক রয়েছে। নিহত রাতুলের দেশের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে। পরিবারের আবেদন অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে ঈদের পরের দিন শুক্রবার সেলফি তুলতে গিয়ে লক্ষ্মীপুর-ভোলা-বরিশাল সড়কে দু’টি মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে কলেজ ছাত্র দুই বন্ধু নিহত এবং আরও ৩ জন গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ নিয়ে তিন দিনের মাথায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন মোটর সাইকেল চালকসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে।