আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে দ্বিতীয় ধাপে ৬৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ প্রদানের পাশাপাশি বিভিন্ন উৎস থেকে চলতি ডিসেম্বরে সব মিলিয়ে ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ পাবে বাংলাদেশ। এতে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও শক্তিশালী হবে।
গতকাল ১৪ ডিসেম্বর বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত একটি সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, আইএমএফ ঋণের পাশাপাশি আগামী সপ্তাহে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে বাংলাদেশ ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ পাবে। চলতি ডিসেম্বরের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আরও ৯০ মিলিয়ন ডলার এবং অন্যান্য উৎস থেকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার আসবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশের জন্য ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইএমএফ। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের সভায় দ্বিতীয় কিস্তির ডলার ছাড়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আইএমএফ মনে করছে, আগামীতে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির হার এখনকার তুলনায় কমবে। অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়বে। আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের সভায় ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের পর বাংলাদেশ ব্যাংক এমন মূল্যায়ন তুলে ধরে।
আইএমএফ এর তথ্য অনুযায়ী, গত ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ প্রাক্কলন করেছে আইএমএফ। বর্তমানে মূল্যস্ফীতি আছে ৯ শতাংশের ওপরে।