ভারতের হাওড়া থেকে চেন্নাই গামী একটি যাত্রীবাহী ট্রেন সিগন্যাল অতিক্রম করার জন্য দাঁড়ালে পিছন থেকে আসা আরও একটি ট্রেন প্রথম ট্রেনটিকে ধাক্কা দেয়, এতে দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়। আহত হয়েছে আরও ৪০ জন।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
রোববার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশাখাপত্তনম পালাসা নামের যাত্রীবাহী ট্রেনটিকে ভিজাগ-রায়গাদা নামে আরেকটি যাত্রীবাহী ট্রেন পেছন থেকে ধাক্কা দেয়।
ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের সিপিআরও বিশ্বজিৎ সাহু জানিয়েছেন, বিশাখাপত্তনম পালাসা ট্রেনের শেষ দুটি বগি এবং ভিজাগ-রায়গাদা ট্রেনের লোকোমোটিভ লাইনচ্যুত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত রাত থেকে মৃতের সংখ্যা নয় জন থেকে বেড়ে ১৩ জন হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে এবং আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পুলিশ সুপার এম দীপিকা জানিয়েছেন, সোমবার (৩০ অক্টোবর) সকালের মধ্যে উদ্ধার প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ করার আশা করছে পুলিশ। দুর্ঘটনার পর এই রুটের ১৮ ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, লাইনচ্যুত এবং ক্ষতিগ্রস্ত বগিগুলো ছাড়া, স্থানটি মধ্যরাতের মধ্যে পরিষ্কার করা হয়েছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে রেলমন্ত্রী ১০ লাখ রুপির আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করেছেন। যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তারা পাবেন আড়াই লাখ রুপি এবং যারা সামান্য আহত হয়েছেন তারা পাবেন ৫০ হাজার রুপি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন এবং প্রাণহানির জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের জন্য আরও ২ লাখ রুপি এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার রুপি সহায়তা ঘোষণা করেছেন।
প্রায় পাঁচ মাস আগে, ওড়িশায় তিনটি ট্রেনের সংঘর্ষে একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ২৮০ জনেরও বেশি যাত্রী নিহত হয়েছিল। গত ২ জুন শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করোমন্ডেল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি পণ্য ট্রেন বহনাগা বাজার স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।