মিয়ানমার থেকে পালানোর সময় ১২জন শিশুসহ ১১২ জন রোহিঙ্গা ধরা পড়ার পর তাদের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রাষ্ট্র পরিচালিত গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলীয় আইয়ারওয়াদি অঞ্চলের বোগালে পালাতে গিয়ে পুলিশের কাছে আটক হওয়া রোহিঙ্গাদের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ডিসেম্বর মাসে একটি মোটরচালিত নৌকায় এই রোহিঙ্গারা পালানোর চেষ্টা করছিল।
সোমবার আটককৃত ১২ শিশুর মধ্যে যাদের বয়স ১৩ বছরের কম, এমন পাঁচ জনকে দুবছরের এবং বাকিদের তিন বছরের জন্য দণ্ড বিবেচনা করে “তরুণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে” পাঠানো হয়েছে। প্রাপ্ত বয়স্কদের পাঁচ বছরের জন্য কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আটককৃত রোহিঙ্গাদের মধ্যে মুসলিমরা তাদের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব অস্বীকার করে, যা তাদের অবৈধ অধিবাসী প্রমাণ করে।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনা পরিচালিত এক নৃশংসতা হাজার হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে। মিয়ানমার সেনা সদস্যদের এই নৃশংসতা এখন “আন্তর্জাতিক গণহত্যা” হিসেবে সারা বিশ্বে আলোচিত।
যে সমস্ত রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে রয়ে থেকে গেছেন তারা বর্তমানে প্রশাসনের কড়া নজরদারিতে থাকছেন। এই বদ্ধ পরিস্থিতিতে তারা শিক্ষা, চিকিৎসা কর্মক্ষেত্রসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বিশ্বে সবচাইতে নির্যাতিত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর এই রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার মত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। উন্নত জীবনযাপনের উদ্দেশ্যে বিপদজ্জনক সমুদ্র যাত্রা করছে এখনও বহু রোহিঙ্গা।