কক্সবাজারে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীদের’ হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে কবির আহমদ (৩৫) নামের একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।
শুক্রবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) ছৈয়দ হারুনুর রশীদ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত কবির উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ৭ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের জি-ব্লকের বাসিন্দা আবুল হোসেনের ছেলে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ নিহতের বন্ধু উখিয়া উপজেলার লম্বাশিয়া ২-ইস্ট নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের সি-২ ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ আমিনের ছেলে মোহাম্মদ রফিক (৩০)।
ছৈয়দ হারুনুর রশীদ জানান, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের-১১ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। তবে কারা, কি কারণে এ খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনও নিশ্চিত নয় বলে জানান তিনি।
স্থানীয়দের বরাতে ছৈয়দ হারুনুর রশীদ বলেন, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জন দুষ্কৃতিকারি কবির আহমদকে হাত পিছমোড়া করে মুখ বেঁধে কয়েকটি গুলি ছুড়ে। এসময় কবির আহমদের সাথে থাকা বন্ধু মোহাম্মদ রফিকও গুলিবিদ্ধ হন।
গোলাগুলির খবর শোনে এপিবিএন পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুষ্কৃতিকারিরা পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দু’রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে স্থানীয় আইওএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক কবির আহমদকে মৃত ঘোষণা করেন।
অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানা গেছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ছৈয়দ হারুনুর রশীদ।