আজ ৯ মে রাশিয়ার বিজয় দিবস এবং সবচেয়ে বড় ছুটির দিন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আজকের দিনে জার্মানির নাৎসি বাহিনীকে পরাজিত করেছিলো তৎকালীন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন। তাই এই ছুটির দিনটি উদযাপন করতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অধীনে বিশাল সামরিক প্যারেডে আয়োজন করা হয়েছে।
এই ছুটির আগে সপ্তাহের শেষ দিকে রুশ সামরিক বাহিনী তাদের অগ্রগতি দৃশ্যমান করে তুলতে পূর্ব ইউক্রেনে নতুন করে শুরু করেছে তাদের আক্রমণ। রোববার ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, একটি রাশিয়ান বিমান হামলায় ওই অঞ্চলে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত একটি স্কুল ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে বহু বেসামরিক লোক মারা যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, রোববার এক অভিনন্দন বার্তায় প্রেসিডেন্ট পুতিন নাৎসি অপকর্মের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশিয়া-সমর্থিত দুটি বিচ্ছিন্ন অঞ্চল দোনেস্ক এবং লুহানস্ক প্রজাতন্ত্রের নেতাদের ভূমিকার জন্য প্রশংসা করেছেন।
রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুটো পক্ষই একই সময় একযোগে একটি গ্রামের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করছে। ইউক্রেনীয় বাহিনী অত্যন্ত বিচক্ষণ প্রতিরক্ষা অগ্রগতির মাধ্যমে দেশটির একসময়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের আশেপাশের অঞ্চল দখলে নিয়েছে।
অন্যদিকে মারিউপোল থেকে নারী, শিশু এবং বৃদ্ধসহ সকল বেসামরিক নাগরিকদের আটকে পড়া ইস্পাত কারখানা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। তবে এই প্ল্যান্টের নীচের একটি বাঙ্কার থেকে একটি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সেখানে থাকা সৈন্যরা লড়াই করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে। একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা এখানে যারা রয়েছি তারা মূলত মৃত মানুষ। আমাদের অধিকাংশই এ সত্যটা জানি। তাই আমরা এই লড়াই চালিয়ে যাব।’
এরই মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বশেষ সমর্থন হিসেবে দেশটিতে অঘোষিত এক সফরে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও একটি অঘোষিত সফর করেছেন ইউক্রেনে এবং কিয়েভে দেশটির দূতাবাস পুনরায় চালু করেছেন। রাশিয়ার উপর আরও নিষেধাজ্ঞা বাড়াতে জি৭ গ্রুপের নেতারা রাশিয়ান তেল ক্রয় বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।