চলতি অর্থবছরের (২০১৭-১৮) প্রথম ৯ মাসে আয়কর, মূল্য সংযোজন কর-মূসক এবং আমদানি-রপ্তানি শুল্ক মিলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর রাজস্ব আয় করেছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৩১১ কোটি টাকা।
এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি। তখন রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২৬ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা।
এনবিআর জানায়, গত ৯ মাসে আমদানি ও রপ্তানি শুল্ক খাতে আয় হয়েছে ৪৯ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। এছাড়াও মূসক থেকে ৬৪ হাজার ৪২৯ কোটি এবং আয়কর ও ভ্রমণ কর খাত থেকে ৫৩ হাজার ২০৯ কোটি টাকা আয় হয়।
যদিও এই সময়ের জন্য নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রাজস্ব আয় কিছুটা পিছিয়ে আছে। ৯ মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৬৭ হাজার ৩১৮ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বাসসকে বলেন মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া বলেন, প্রতিবছর প্রায় ৩৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আমাদের জিডিপির তুলনায় কর অনুপাত কম হলেও এতো বড় প্রবৃদ্ধি অর্জন রাতারাতি সম্ভব নয়। প্রকৃত আদায়ের সঙ্গে সমন্বয় করে লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়ীরা ভ্যাট আহরণ করলেও সরকারি কোষাগারে ঠিকমতো জমা দেন না। এ খাতে কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে রয়েছি। সবাই যেনো ভ্যাট দেয় সে ব্যবস্থা নিচ্ছি। পাশাপাশি উৎসে করের পরিধি বাড়িয়ে বেশি মানুষকে কর ও ভ্যাটের মধ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো বেশি মানুষকে করজালে নিয়ে আসা ও ব্যবসা করার সুযোগ দিয়ে রাজস্ব আহরণ বাড়ানো। বিগত কয়েক বছরে নতুন করদাতা সংগ্রহের সঙ্গে সঙ্গে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির যে ইতিবাচক ধারা তৈরি হয়েছে- চলতি করবর্ষের ৯ মাসে সেটা দেখা গেছে।
এনবিআরের তথ্যমতে, গত ২০১৬-১৭ করবর্ষের প্রথম ৯ মাসে শুল্ক থেকে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ছিল ৩৯ হাজার ৫৫২ কোটি টাকা যা চলতি অর্থবছরের একই সময়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ হাজার ৬৮১ কোটি। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশ।
আলোচ্য সময়ে আয়কর আহরণ বেড়েছে ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গত ৯ মাসে ৩৯ হাজার ২৯১ কোটি টাকার আয়কর রাজস্ব আয় এবার বেড়ে হয়েছে ৫৩ হাজার ২০৯ কোটি।
শুল্ক ও আয়করের মত ভ্যাট রাজস্ব আয়েও উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। গত ৯ মাসে ভ্যাট রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ছিল ৪৭ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব আয়ের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।
সূত্র: বাসস।