টাঙ্গাইল সদর থানার বেবিস্ট্যান্ড সংলগ্ন পতিতা পল্লী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে। মঙ্গলবার ৯৯৯ এ কল করার পর উদ্ধার করা হয় ওই কিশোরীকে। পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীটি তার কাছে আগত এক খদ্দেরের কাছে তার কষ্টের কথা বললে, সেই ব্যক্তি ৯৯৯ এ কল করলে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
৯৯৯ এর সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ মিরাজুর রহমান পাটওয়ারী চ্যানেল আই অনলাইনকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। উদ্ধার হওয়া ওই কিশোরীর বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায়। মেয়েটিকে উদ্ধার অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশের এসআই প্রতিমা।
উদ্ধার হও ওই কিশোরী কয়েকমাস আগে ভাগ্যান্বেষণে রাজধানীতে এসেছিল। এসে কাজে নেয় ঢাকার গাবতলি এলাকায় একটি গার্মেন্টে। কর্মস্থলে যাওয়া-আসার পথে তার সাথে পরিচয় হয় রুবেল নামের এক ছেলের। পরিচয় থেকে এক সময় ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। একদিন রুবেল ওই কিশোরীর সাথে শাহনাজ নামের এক নারীর পরিচয় করিয়ে দেয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে একটি দোকান থেকে তারা কোল্ড ড্রিংকস পান করে। এর তিনদিন পর ওই কিশোরী অজ্ঞান অবস্থায় নিজেকে আবিষ্কার করে টাঙ্গাইল সদরের বেবিস্ট্যান্ড সংলগ্ন পতিতালয়ে। সেখানে প্রায় ৩ মাস কাটে তার। অনেক কাকুতি-মিনতির পরও মেলে না উদ্ধার।
অন্যদিনে মত গত মঙ্গলবার সকালেও এক খদ্দেরের কাছে ওই কিশোরী অন্ধকার জগত থেকে তাকে মুক্ত করার জন্য অনুরোধ জানায়। ওই খদ্দেরই ঘটনাটি জানায় ৯৯৯-এ। ৯৯৯ থেকে ঘটনাটি টাঙ্গাইল সদর থানায় জানানো হলে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে ওই কিশোরীকে।
মেয়েটি বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তার স্বজনরা এসে পৌঁছলেই তাদের কাছে দিয়ে দেয়া হবে মেয়েটিকে।