দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পরে অবশেষে বিভিন্ন মামলার সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আলোচিত আসামি ইসমাইল হোসেন সিরাজীকে গ্রেফতার করেছে টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশ।
সিরাজী ৯০ দশকে টাঙ্গাইলে বে-সরকারী দুটি প্রতিষ্ঠান এসডিএস ও আইটিসিএল প্রতিষ্ঠা করে দেশের বিভিন্ন জেলায় অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে হাজার হাজার গ্রাহক আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করলে গ্রাহকদের টাকা পরিশোধ না করে পলাতক থাকেন তিনি। গ্রেফতারকৃত সাজাপ্রাপ্ত আসামি সিরাজী এসডিএস ও আইটিসিএল এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মাহবুব আলম জানান, বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার আশেকপুর এলাকা থেকে ইসমাইল হোসেন সিরাজীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নামে বিভিন্ন মেয়াদে ৪টি সাজা পরোয়ানা ও ৬টি জি আর গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে। সে দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক ছিলো।
৯০ দশকের শুরুতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কান্দিলা এলাকায় ইসমাইল হোসেন সিরাজী তার তিনবন্ধুকে সাথে নিয়ে সোসাল ডেভেলপমেন্ট সংসদ (এসডিএস) নামক একটি ক্ষুদ্র ঋন ও সঞ্চয় কার্যক্রম শুরু করেন।
দ্রুত সময়ে এর প্রসার ঘটার পর ৯৬ সালে তারা এর অঙ্গসংগঠন হিসেবে আইটিসিএল প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করে। পরে টাঙ্গাইলসহ সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় এই আমানত সংগ্রহ করে তারা। পরে ২০০২ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক আইটিসিএল-এর আমানত সংগ্রহকে অবৈধ ব্যাংকিং কার্যক্রম হিসেবে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। পরে গ্রাহকরা টাকা ফেরৎ নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এক পর্যায়ে চাপের মুখে প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় এবং কর্মকর্তারা গা ঢাকা দেয়।
শনিবার এসডিএস ও আইটিসিএল এনজিও’র চেয়ারম্যান ও শিল্পপতি ইসমাইল হোসেন সিরাজী (৬৮) কে ধানমন্ডি এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ করা হয়েছে বলে তার স্ত্রী রুবাইয়া গুলশান ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।