কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৫৩৫তম দিনে দেশে ১১৪ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ৫১৩ জন। চলতি বছরের গত ৩০ জুন ১১৫ জনের মৃত্যু হয়। যা গত ৮ সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন মৃত্যু।
গতকাল মৃত্যু ছিলো ১১৭ জন। এর আগে গত ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়।এদিন শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ২৪৯ জন রোগী। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ৩৪ হাজার ৭০৮ টি পরীক্ষায় পাঁচ হাজার ২৪৯ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৬৪ লাখ ৬১ হাজার ৪৩৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২২ লাখ ৫৯ হাজার ৫৮১ টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৭ লাখ ২১ হাজার ১৪টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১৪ লাখ ৭২ হাজার ৯৬৪ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় আট হাজার ৯০৭ জনসহ মোট ১৩ লাখ ৮১ হাজার ৭৬৩ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৩ দশমিক ৮১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১১৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ৫৬ জন পুরুষ ও ৫৮ জন নারী। তাদের মধ্যে ১১১ জনের হাসপাতালে (সরকারিতে ৮৭ জন, বেসরকারিতে ২৪ জন) ও বাড়িতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ২৫ হাজার ৫১৩ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৩ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ২১ হাজার ৭৬৫ জন, যার শতকরা হার ৮৫ দশমিক ৩১ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন দুই হাজার ৯৮৪ জন, যার শতকরা হার ১১ দশমিক ৭০ শতাংশ। বাসায় ৭৩১ জন মারা গিয়েছেন, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৮৭। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ৩৩ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১৩ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার ৬৪৬ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৫ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং আট হাজার ৮৬৭ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১৩৯ জনের মধ্যে শূন্য থেকে দশ বয়সী একজন, এগারো থেকে বিশ বছর বয়সী এক জন, একুশ থেকে ত্রিশ বছর বয়সী চারজন, ত্রিশোর্ধ্ব চারজন, চল্লিশোর্ধ্ব ১১ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২৬ জন, ষাটোর্ধ্ব ৩৬ জন, সত্তরোর্ধ্ব ২১ জন, আশি উর্ধ্ব নয়জন ও নব্বই উর্ধ্ব একজন।
আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ৪২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ছয়জন, খুলনা বিভাগে ১৩ জন, বরিশাল বিভাগে পাঁচজন, সিলেট বিভাগে নয়জন, রংপুর বিভাগে ছয়জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে চারজন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২২২টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ২১ কোটি ৩৫ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৯ কোটি ১০ লাখের বেশি।