পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, রাজশাহীর সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হকসহ বিশিষ্ট ৮ ব্যক্তিকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে।
আনসার আল ইসলাম (আল-কায়দা ভারতীয় উপমহাদেশ) নামের সংগঠনটির প্যাডে এ হত্যার হুমকি দেয়া দেয়া হয়। চিঠিতে রাজশাহীর বহুল প্রচারিত দৈনিক সানসাইনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ইউনুস আলীকেও ওই ৮ জনের তালিকায় রাখা হয়েছে।
এর কয়েক মাস আগে একইভাবে দেশের বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রাণনাশের হুমকি দেয় সংগঠনটি। এছাড়াও ব্লগার নিলয় হত্যার পর তারও দায় স্বীকার করে আনসার আল ইসলাম। নিজেদের ‘আল কায়দা’র বাংলাদেশ শাখা বলে দাবি করে জঙ্গি সংগঠনটি।
সোমবার সকালে চিঠিটি সানসাইন পত্রিকার কার্যালয়ে এসে পৌঁছে। এতে যাদেরকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে তারা হলেন; রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি ইকবাল বাহার, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল হায়াত ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।
চিঠির বিষয় হিসেবে লেখা হয়েছে ‘রাজশাহী শহরে আমাদের টার্গেটসমূহ’।
এরপর লেখা হয়, ‘আলহামদুলিল্লাহ। আমাদের বাংলাদেশ শাখার উপ-শাখা রাজশাহী অঞ্চলে আমাদের কার্যক্রম আমরা শুরু করেছি, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা রাজশাহী অঞ্চলে আল্লাহ, রাসূল ও মুসলমানের নিকৃষ্টতম দুশমনদের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করেছি। আল্লাহ ও রাসূলের দ্বীন প্রতিষ্ঠায় এদের প্রত্যেককে হত্যা করা হবে।
সেখানে ৮ বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়। শেষে মূল কথায় চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। আল্লাহ ও রাসূলের দ্বীনের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নিয়েছেন এবং আল্লাহ নয়, অন্য কারো কাছে নত স্বীকার করেছে তারা আমাদের টার্গেট। সাধারণ কোনো মুসলমান আমাদের টার্গেট নয়। সংক্ষিপ্ত তালিকায় অনেকের নাম আসেনি, তাই বলে ইসলামের দুশমনরা ছাড় পাবেন এমন না। আল্লাহর মুজাহিদগণ আল্লাহ ও রাসূলের দ্বীন প্রতিষ্ঠায় বাধা দানকারী, কটাক্ষকারী সবাইকে শাস্তি দেয়ার ব্যবস্থা করবেন। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুণ। আমরা শুধু আল্লাহরই ইবাদত করি এবং তারই সাহায্য চাই। সালাত ও সালাম তর্ষিত হোক মুহম্মদ এর উপর।’
চিঠির নিচে আনসার আল ইসলাম (আল-কায়দা ভারতীয় উপমহাদেশ) প্রধান হিসেবে মুফতি আবদুল্লাহ আশরাফ ও রাজশাহী অঞ্চলের স্থানীয় প্রধান নির্দেশক হিসেবে রাজশাহী কলেজের শিক্ষক অধ্যাপক হবিবুর রহমানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও চিঠির খামে প্রেরক হিসেবে অধ্যাপক আবু সিদ্দিকের নাম ব্যবহার করা হয়েছে।