দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রভাষক নিয়োগে অনিয়ম এবং দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, টিআইবি। সংস্থাটি দাবি করেছে, আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পেতে তিন থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেনের তথ্য পাওয়ার দাবি সংস্থাটির। ।
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রভাষক নিয়োগে চলতি বছর গবেষণা শুরু করে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা টিআইবি। জরিপ চালিয়ে ২০০১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নিয়ে চলে ওই গবেষণা। গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে টিআইবি প্রভাষক নিয়োগে যেসব অনিয়মের অভিযোগ এনেছে তার মধ্যে আছে: পছন্দের শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন, শিক্ষকদের নিজের ও পরিবারের কাজে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার এবং উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পছন্দের বা ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক মতাদর্শের অনুসারীদের প্রাধান্য।
টিআইবি’র পূর্ণ প্রতিবেনটি পড়তে চাইলে ক্লিক করুন: https://www.ti-bangladesh.org/beta3/images/2016/fr_recruitement-pub_16_bn.pdf
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক নিয়োগ নিয়ে টিআইবির সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেছেন, রিপোর্টটিকে অস্বীকার করার উপায় নেই। তিনি বলেন, একজন শিক্ষকও যদি অবৈধ উপায়ে নিয়োগ পান তার খেসারত দিতে হয় কয়েক প্রজন্মকে।
দুটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে রিপোর্টে জানানো হয়। তবে এ দু’টি কিংবা যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মের কথা বলা হয়েছে তার একটির নামও প্রকাশ করেনি টিআইবি। তারা বলেছে, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পূর্ণাঙ্গ শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা করা প্রয়োজন।
https://youtu.be/9BFALf7AjYs