টংগীর তুরাগ নদীর তীরে ৮ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। মাঠে চলছে ইজতেমা আয়োজনের সব প্রস্তুতি। লাখ লাখ মুসল্লিদের জন্য থাকছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা।
ইজতেমার জন্য সারা দেশকে প্রথম বারের মতো চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
সারা বাংলাদেশকে চার ভাগে ভাগ করে ১৬ জেলার মুসল্লিদের নিয়ে ৮ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। আবার ১৬ জেলার মুসুল্লিদের জন্য দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা শুরু হবে ১৫ জানুয়ারি। এ বছর যেসব জেলার মুসল্লি ইজতেমায় অংশ নেবেন তাদের বাদ দিয়ে বাকি ৩২ জেলার মুসল্লিদের জন্য আগামী বছর হবে ২ পর্বের বিশ্ব ইজতেমা। প্রতি বছর ইজতেমায় মুসল্লির সংখ্যা বাড়ার কারণে এ বছর থেকে নতুন এ নিময়ে বিশ্ব ইজতেমা হবে।
তবে, ইজতেমায় যোগ দেয়ার জন্য বিদেশী মুসল্লিদের জন্য কোনো বাধ্য বাধকতা নেই। আয়োজকরা বলছেন, প্রায় ২৫ হাজার বিদেশী মুসল্লির জন্য এ বছর ইজতেমা মাঠে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ১শ’২০টি দেশ থেকে এবারের ইজতেমায় মুসল্লিরা আসবেন। বিশাল এ ধর্মীয় জমায়েত আয়োজনে ব্যস্ত তুরাগ পাড়। মাঠে চলছে সামিয়ানা টাঙানো এবং মঞ্চ নির্মাণের কাজ। দেশের প্রত্যন্ত এলাকা এবং আশপাশের জেলা থেকে অনেকেই এসেছেন ইজতেমা মাঠে কাজ করতে।
মুসল্লিদের পাশাপাশি মাঠে কাজ করছে সরকারের সেবাদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
ঠিক ইজতেমার সময় তাড়াহুড়ো করে নতুন টয়লেট নির্মাণ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। এসব টয়লেট মুসল্লিদের ব্যবহারোপযোগী করা এ বছরও সম্ভব নয় বলে মনে করেন আয়োজকরা।
নিরাপদ পানির জন্য পুরনো সব গভীর নলকুপ সংস্কার করা হয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। সেনাবহিনীর সহায়তায় তুরাগ নদীতে নির্মাণ করা হচ্ছে ১০টি ভাসমান সেতু। পোশাকে এবং সাদা পোশাকে ইজতেমার সময় মাঠে এবং আশপাশে মোতায়েন থাকবে কয়েক হাজার নিরাপত্তাকর্মী।