শেষ ম্যাচে সবচেয়ে খারাপ হলো ব্যাটিং। ৭৩ রানে গুটিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ দল অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছে ৮ উইকেটে। সুপার টুয়েলভে সব ম্যাচ হেরে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শেষ করল মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকরা।
মূলপর্বে পাঁচ ম্যাচ হারা বাংলাদেশ দল শুক্রবার বিকাল ৫টায় দেশে ফিরবে।
কোনোরকমে বাছাইপর্ব পেরোলেও সুপার টুয়েলভে কেবলই ভরাডুবি। কোনো ম্যাচেই জয়ের স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে সহজ লক্ষ্যে ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৬.২ ওভারে টপকে যায় অজিরা।
বাংলাদেশ: ৭৩/১০ (১৫ ওভার), অস্ট্রেলিয়া: ৭৮/২ (৬.২ ওভার)
অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ২০ বলে ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে তাসকিন আহমেদের বলে আউট হন। ১৮ রান করা শরিফুল ইসলামকে উইকেট দেন ডেভিড ওয়ার্নার। মিশেল মার্শ ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ৮৪ রানে অলআউট হওয়ার পর টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং তোপে ৭৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। অ্যাডাম জাম্পা ৫ উইকেট নিয়ে একাই ধসিয়ে দেন ব্যাটিং লাইন।
শামীম হোসেন ১৯, নাঈম শেখ ১৭ ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন ১৬ রান। বাকি কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্ক
শুরুর মতো শেষেও টপাটপ উইকট হারিয়েছে বাংলাদেশ। হাল ধরতে পারেননি কেউ। বিশ্বকাপজুড়েই বাংলাদেশ দলের দুর্দশার কারণ হয়ে থাকল ব্যাটিং। দুবাইয়ে অজিদের বিপক্ষে বাংলাদেশের ভাগ্য লেখা হয়ে যায় শুরুতেই। ৬.১ ওভারে যখন সাজঘরে ফেরেন পাঁচ ব্যাটার। তাদের বোলিংয়ের সামনে শুরুতেই সাজঘরে ফিরে যান লিটন দাস (০), সৌম্য সরকার (৫) ও মুশফিকুর রহিম (১)।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওভারে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। উইকেট শিকারিরা হলেন মিশেল স্টার্ক, জস হ্যাজেলউড, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
শুরুর বাজে অবস্থা থেকে আর বের হতে পারেনি দল। ১৫ ওভারে গুটিয়ে যায় ৭৩ রানে। টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন সংগ্রহ ৭০ রান। ২০১৬ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
আগস্টে মিরপুরে দ্বিতীয় সারির অস্ট্রেলিয়া দলকে ৪-১এ টি-টুয়েন্টি সিরিজ হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই প্রেক্ষাপটের সঙ্গে এখনকার বাস্তবতার কোনো মিল নেই। অস্ট্রেলিয়া খেলছে দুর্দান্ত ক্রিকেট। উল্টো পথে বাংলাদেশ।