বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে কথা বলায় ৭টি দেশের কূটনীতিকদের প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখা নিয়ে ৭ দেশের রাষ্ট্রদূত টুইট করায় তাদের সতর্ক করেছেন তিনি। এক ভিডিওবার্তায় তাদের শিষ্টাচার বজায় রাখতে বলেছেন।
ভিডিওবার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে কোনো দেশে রাষ্ট্রদূতদের জটলা করে এমনভাবে বিবৃতি দিতে দেখিনি। এটা খুবই দুঃখজনক। আমি খুব খুশি হতাম এই রাষ্ট্র্রদূতেরা যদি জটলা করে বলতেন, রাখাইনে যুদ্ধ হচ্ছে, এটা বন্ধ হওয়া উচিত।
তিনি আরো বলেন, এটা কোনো কূটনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। তাদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, তবে তা প্রটোকল অনুযায়ী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাতে পারতেন। কিন্তু সেটা না করে তারা রাজনীতির মহড়ায় চলে গেছেন। তারা প্রকাশ্যে বিবৃতি দিচ্ছেন। তারা কি এ দেশে রাজনীতি করবেন? এ দেশে নির্বাচন করবেন? নাকি অন্য কোনো কিছু?
ক্ষুব্ধ হয়ে ভিডিওবার্তায় আব্দুল মোমেন আরো বলেন, এসব মতলব সুবিধার না। আমি আশা করব, তারা প্রটোকল মানবেন এবং সেভাবেই কাজ করবেন। তারা জ্ঞানীগুণী জন। এমনটা প্রত্যাশিত নয়।
গত বৃহস্পতিবার মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন, ইইউ রাষ্ট্রদূত রেনসে টেরিঙ্ক, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত শার্লোটা স্লাইটার, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিসেল ব্লিকেন, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি পেটারসন ও নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারওয়েজ আলাদা আলাদা টুইট করেন। তাতেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।