করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশে গণহারে টিকা কার্যক্রম পরিচালনায় ৭ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত দেশব্যাপী ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইনের উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এই উদ্যোগে যাদের বয়স ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব তাদেরকে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ নির্ধারিত টিকা কেন্দ্রে এসে ভ্যাকসিন গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
আজ বুধবার অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সারাদেশে সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে ইউনিয়ন-ওয়ার্ড পর্যায়েও আমরা ভ্যাকসিন কর্মসূচি চালু করছি। এ লক্ষ্যে আগামী ৭ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত দেশব্যাপী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন চলবে।
কোথায়, কখন, কীভাবে টিকা নেবেন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ৭ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে নির্ধারিত ভ্যাকসিন কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া হবে।
এছাড়াও সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকায় প্রতি ওয়ার্ডে ৭ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে যাদের বয়স ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব তাদেরকে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ নির্ধারিত ভ্যাকসিন কেন্দ্রে এসে ভ্যাকসিন গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টা শুধুমাত্র নারী ও পঞ্চাশোর্ধ পুরুষকে টিকা দেওয়া হবে। যারা ইতিমধ্যে অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন তাদেরকে নিবন্ধনের সময় উল্লেখিত ভ্যাকসিন কেন্দ্রে এসে ভ্যাকসিন গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
করোনা টিকা নেওয়ার পরে করণীয়
টিকা নেওয়ার পর টিকা কেন্দ্রে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। টিকা নেওয়ার পর যেকোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা/অসুবিধা হলে সঙ্গে সঙ্গে টিকাদান কর্মীকে খবর দিন। প্রয়োজনে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করুন।
কোভিড-১৯ টিকা নেওয়ার পরেও জরুরি কাজে ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। একে অপর থেকে অন্তত ৩ ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সাবান ও পানি দিয়ে ঘন ঘন ২০ সেকেন্ড ধরে দুই হাত ধুতে হবে। হাঁচি-কাশির সময় মুখ ঢেকে নিতে হবে।