বিশ্বের সবচেয়ে বড় মেলার আয়োজক জার্মানি ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মেসে ফ্রাঙ্কফুর্ট ২০১৯ সালে ৭১ কোটি ৮০ লাখ ইউরো বিক্রয়ের নতুন রেকর্ড করেছে।
প্রতিষ্ঠানটি কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে তৃতীয় স্থানে তার অবস্থান ধরে রেখেছে।
বুধবার প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মেসে ফ্রাঙ্কফুর্টের ৩০টি সহায়ক প্রতিষ্ঠান এবং ১৯০ টি দেশে ৫৬টি বিক্রয় অংশীদার বা সেলস পার্টনার রয়েছে। বাংলাদেশ সবচেয়ে সফল বিক্রয় অংশীদারদের মধ্যে একটি। টেক্সটাইল, গাড়ি, ভোগ্য পণ্য, সঙ্গীত, নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তিগত প্রদর্শনী, ইত্যাদি নিয়ে মেসে ফ্রাঙ্কফুর্ট প্রদর্শনীর আয়োজন করে থাকে। মেসে ফ্রাঙ্কফুর্টে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ৮টি সরকারি প্যাভিলিয়নের আয়োজনে সহায়তা করেছে। বাংলাদেশ থেকে ১শ জনেরও বেশি নির্মাতা এবং ১ হাজার জনের বেশি দর্শক অংশ নিয়েছে মেসে ফ্রাঙ্কফুর্টের আয়োজিত প্রদর্শনীগুলোতে।
দক্ষিণ এশিয়ার জন্য সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রদর্শনী হলো হেমটেক্সটিল, টেক্সওয়ার্ল্ড/ অ্যাপারেল সোর্সিং প্যারিস, অ্যাম্বিয়েন্তে, বিউটিওয়ার্ল্ড মিডল ইস্ট এবং অটোমেকানিকা দুবাই। যেগুলোতে বাংলাদেশ সবসময় অংশ নিয়ে আসছে।
মেসে ফ্রাঙ্কফুর্টের ২০১৮ সালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে প্রতিষ্ঠানটির এই বছরে বিক্রয় বেড়েছে ৭ শতাংশেরও বেশি। ২০১৮ সালে বার্ষিক মোট আয় ৫ কোটি ইউরোরও বেশি ছিল। ২০১৭ সালে প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়েছিল। কিন্তু ইবিআইটিডিএ (সুদ, কর, অবমূল্যায়ন-এসবের আগে উপার্জন) ছিল প্রায় ১৩ কোটি ২০ লাখ ইউরো।
২০১৮ অর্থবছরে মেসে ফ্রাঙ্কফুর্টের আয়োজিত প্রদর্শনীগুলোতে এসেছিলো প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। এছাড়া ২০১৯-২০২০ সালের জন্য ১৭টিরও বেশি নতুন প্রদর্শনীর পরিকল্পনা আছে।
বিগত ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে, মেসে ফ্রাঙ্কফুর্ট তার প্রদর্শনী কেন্দ্র আধুনিকীকরণের জন্য প্রায় ১শ কোটি ইউরো বিনিয়োগ করেছে।
২০২০ সাল থেকে মেসে ফ্রাঙ্কফুর্টের প্রদর্শনী কেন্দ্রগুলী কেবলমাত্র সবুজ শক্তি ব্যবহার করে পরিচালিত হবে। পুরোপুরি নতুন এবং পুন:র্নির্মিত ভবন ছাড়াও এখানে একটি দক্ষ, শক্তির সর্বোচ্চ ব্যাবহার করা যায় এমন নকশা থাকবে।