চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

৭০০ গোলের এক কদম দূরে রোনালদো

আর মাত্র একটি গোল। জাতীয় দল পর্তুগালের হয়ে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২.৪৫ মিনিটে লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে গোলটা পেলেই ক্যারিয়ারে ৭০০তম স্কোরের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।

বয়স ৩৪ হয়ে গেলেও রোনালদোর রেকর্ড গড়া থামানোই যাচ্ছে না! ক্লাব ক্যারিয়ারে স্পোর্টিং সিপি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস মাতানো সিআর সেভেন জাতীয় দলের হয়েও সমান উজ্জ্বল।

ক্লাব-জাতীয় দল মিলিয়ে ৯৭২ ম্যাচ খেলেছেন রোনালদো, গোল ৬৯৯টি। জাতীয় দলে ১৬০ ম্যাচে গোল ৯৩, আর ক্লাব ফুটবলে ৬০৬টি। যার মধ্যে পেনাল্টি থেকে এসেছে ১১৫ গোল।

ক্যারিয়ারের শুরু যেখানে, সেই স্পোর্টিংয়ের হয়ে ৩১টি গোল করে নজরে পড়েছিলেন ম্যানইউ কিংবদন্তি কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের। রেড ডেভিলদের দলে যোগ দিয়ে ২৯২ ম্যাচে ১১৮টি গোল করে হয়ে ওঠেন তারকা। পরে রিয়ালে যোগ দিয়ে খেলেছেন ৪৩৮ ম্যাচ, করেছেন ৪৫১ গোল। লস ব্লাঙ্কোসদের ইতিহাসে তিনিই এখন সর্বোচ্চ গোলদাতা। বর্তমান ক্লাব জুভেন্টাসেও সমান উজ্জ্বল, ৫১ ম্যাচে ইতিমধ্যেই মহাতারকার গোল হয়ে গেছে ৩১টি।

পর্তুগালের হয়েও রেকর্ড ডাকছে রোনালদোকে। আর মাত্র ১৬টি গোল হলেই আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইরান কিংবদন্তি আলি দায়ির ১০৯ গোলের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবেন সিআর সেভেন। রোনালদো তার রেকর্ড ভাঙলে খুশিই হবেন বলে মার্কাকে জানিয়েছেন ইরানের সাবেক এ ফুটবলার, ‘আমার কোনো সন্দেহ নেই যে রোনালদোই আমার রেকর্ড ভাঙবে।’

আন্তর্জাতিক ফুটবলে রোনালদোর প্রিয় প্রতিপক্ষ সুইডেন, লাটভিয়া, অ্যান্ডোরা ও আর্মেনিয়া। এই চার দেশ বিপক্ষে পাঁচটি করে গোল আছে তার। ক্লাব ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়ার বিপক্ষে, ২৭টি। অ্যাটলেটিকো ২৫, গেটাফে ২৩, সেল্টা ভিগো ২০ ও লিওনেল মেসির বার্সেলোনার বিপক্ষে আছে ১৮টি গোল।

সব মিলিয়ে ১২টি প্রতিযোগিতায় ৪৫৭ ম্যাচে একটি করে গোল আছে পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকার। একেকটি গোলের জন্য সময় খরচ হয়েছে ১১২ মিনিট, শতাংশের হারে যা ৪৭।