বিমান পরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার যুক্তরাজ্যও ৬টি দেশের বিমান যাত্রীদের কেবিন ব্যাগে ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট বহন নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর ব্রিটেন এই ঘোষণা দেয়।
সরকারি সূত্রের বরাত বিবিসি ও এনডিটিভি জানায়, মিশর, জর্ডান, লেবানন, সৌদি আরব, তিউনিসিয়া এবং তুরস্ক থেকে সরাসরি বৃটেনে ভ্রমণকারী বিমান যাত্রীরা তাদের সাথে ল্যাপটপ, ট্যাবলেট সাথে রাখতে পারবে না। তবে মোবাইল ফোন সঙ্গে রাখতে পারলেও এবং বড় আকারের ফোন (১৬ সেন্টিমিটারের বেশি) রাখা যাবে না।
মঙ্গলবার সকালে এবং গত কয়েক সপ্তাহে বিমান পরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তায় প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে কয়েকটি বৈঠক করেন। সেখানে নিষেধাজ্ঞার এ বিষয়টিতে সম্মতি দেয়া হয়।
বৃটিশ ও ইজিজেট এয়ারলাইন্সসহ বৃটেনের ৬টি এবং তারকিস এয়ারলাইন্সসহ ৮টি এয়ারলাইন্সের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে।
এর আগে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার আটটি দেশের বিমানের যাত্রীদের কেবিন ব্যাগে ল্যাপটপ, ট্যাবলেটসহ যাবতীয় ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দেয়।
তাদের এই সিদ্ধান্তের আওতায় ১০টি এয়ারপোর্টের ৯টি এয়ারলাইন্স পড়বে। আগামী শনিবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে সরকারি সূত্র জানায়। এই নিষেধাজ্ঞা কবে শেষ হবে তা জানানো হয়নি।
তবে এই নির্দেশনা ২৫ মার্চ থেকে কার্যকর হয়ে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বহাল থাকতে পারে বলে এমিরেটসের একজন মুখপাত্র সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানান।
এছাড়া ৬টি মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার সাথে নতুন এই নিষেধাজ্ঞার কোনো সম্পর্ক নেই বলেও রয়টার্সের কাছে সরকারি সূত্র জানায়।
গত ফেব্রুয়ারিতে দুবাইয়ের ডালো পরিবহন পরিচালিত একটি বিমান সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে উড্ডয়ন করার কিছুক্ষণের মধ্যে বিস্ফোরিত হয়।
মূলত ওই ঘটনার পর গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্যের ভিত্তিতে বিমান পরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেন এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে।