কিশোরগঞ্জের ভৈরবে চাঞ্চল্যকর নবী হোসেনকে হত্যার পর লাশ ৬ টুকরো করে গুমের অপরাধে এক নারীসহ দুই জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার সকালে কিশোরগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন, নিহত নবী হোসেনের কথিত প্রেমিকা সুমনা বেগম এবং সুমনার সাবেক স্বামী নজরুল ইসলাম।
একই সাথে তাদের প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা আর্থিক দণ্ডও দেয়া হয়েছে। আসামি সুমনা পলাতক রয়েছেন।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অন্য দুই আসামি আশরাফুল রাসেল ও মো. শরীর মিয়াকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নজরুলের সাথে সুমনা বেগমের বিয়ে হলেও ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পরে ভৈরব সদরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়া গ্রামের কবিরাজ নবী হোসেনের সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠে সুমনার। এক পর্যায়ে নজরুল ইসলামের সাথে সুমনার আবার সম্পর্ক জোরা লাগে। এ নিয়ে নবী হোসেনের সাথে সুমনার বিরোধী তৈরি হয়।
২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর নবী হোসেনকে ফোন করে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে যান সুমনা। এ দিন গভীর রাতে সুমনার বাসায় নবী হোসেনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করা হয়। পরে লাশ ৬ টুকরা করে ভৈরবের কয়েকটি স্থানে লুকিয়ে রাখা হয়।
ঘটনার দুইদিন পর ২৩ ডিসেম্বর পুলিশ নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে। একই দিন অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে ভৈরব থানায় একটি মামলা করেন নিহতের স্ত্রী বিলকিছ বেগম।
পরে মামলাটি সিআইডিতে পাঠানো হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের এসআই মো: নজরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি চার জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করে আদালত। এ দিকে রায়ে সন্তুষ্ট রাষ্ট্রপক্ষ। তবে রায় ঘোষণার সময় বাদীপক্ষের কেউ উপস্থিত ছিলেন না।