সামান্য কথা কাটাকাটির জের ধরে ভ্রাম্যমান আদালত দিয়ে কারাগারে পাঠানো লক্ষ্মীপুরের সাবেক সিভিল সার্জন ডা.সালেহ উদ্দীন শরীফকে জামিনে মুক্ত করে এনেছেন চিকিৎসকরা। একই সঙ্গে ৬৫ বছর বয়সী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার ও সাজা বাতিলের দাবি জানিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)।
জেলা বিএমএ সভাপতি ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের জেলা আহ্বায়ক ডা.জাকির হোসাইন আশা করেন, চিকিৎসকদের দাবি, হাইকোর্টের রুল এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের প্রতিবাদে সাবেক সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রত্যাহার এবং সাজা বাতিল করা হবে।
চ্যানেল আই অনলাইনকে লক্ষ্মীপুরের এই চিকিৎসক নেতা বলেন, “আমরা ডা.সালেহ শরীফকে জামিনে মুক্ত করে এনেছি। লক্ষ্মীপুর জেলার চিকিৎসকরা সবাই জেলাপ্রশাসকের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছি।”
চিকিৎসকদের দাবি মেনে জেলা প্রশাসন অভিযোগ প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
ডা. জাকির বলেন, “জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযোগ প্রত্যাহার করা হবে জানিয়ে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।”
সোমবার সকালে শহরের কাকলি স্কুলের প্রবেশ পথ দিয়ে আগে-পরে যাওয়াকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলাম ও ডা.সালাহ উদ্দিন শরীফের কথা কাটাকাটি হয়।
এরপর ভ্রাম্যমান আদালত ডা.শরীফকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়ার প্রতিক্রিয়ায় লক্ষ্মীপুরের চিকিৎসকদের প্রতিনিধি ডা.জাকির বলেন, “একজন আরেকজনকে লাঞ্ছিত করেছেন এমন পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে যেহেতু ছিলাম না তাই বলতে পারছি না আসলে কী হয়েছিলো। তবে একজন ৬৫ বছর বয়সী চিকিৎসক তিন মাসের কারাদণ্ড পাওয়ার মতো অপরাধ করেননি বলেই আমরা মনে করি।”
সোমবার ৪ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) শেখ মুর্শিদুল ইসলামের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফকে আটক করে পুলিশ। তখনই ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নুরুজ্জামান তাকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।