হারানোর দীর্ঘ ৫ বছর পর নিজের পোষা কালো বিড়ালটি ফিরে পেলো তার মালিক। অরেগান থেকে হারিয়ে যাওয়া বিড়ালটিকে পাওয়া যায় নিউ মেক্সিকো রাজ্যের একটি অ্যানিমেল শেল্টারে এবং তার দূরত্ব ১৯০০কিমি!
অরেগান রাজ্যের পোর্টল্যান্ডের বাড়ি থেকে হারিয়ে যাওয়া বিড়ালটিকে ফিরে পেয়ে ভিক্টর উসভ বলছেন, আমার বিশ্বাস ছিলো যে, আমি তাকে খুঁজে পাবো। অবশেষে পেয়েছি, আমি কৃতজ্ঞ।
বিবিসিকে জানায়, মূলত পাঁচ বছর আগে পোষা প্রাণীটি হারিয়ে যাওয়ার পরপরই ভিক্টর উসভ স্থানীয় বিভিন্ন অ্যানিমেল শেল্টারে খোঁজ করেছিলেন। তিনি তখন বিশ্বাস করেছিলেন যে, হারানো বিড়ালের সঙ্গে তার পুনরায় দেখা হবে।
তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে নিউ মেক্সিকোর সান্তা ফে শেল্টার থেকে ফোন পাওয়ার পর বিশ্বাস করতে পারিনি প্রথমে। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
সান্তা ফে অ্যানিমেল শেল্টার কর্তৃপক্ষ জানায়, মূলত বিড়ালের গলায় থাকা মাইক্রোচিপ স্ক্যান করে বিড়ালটির প্রকৃত মালিকের খোঁজ পাওয়া যায়।
বিড়ালের গলায় মাইক্রোচিপ কিভাবে বসানো হয়েছিলো তার বিস্তারিত বলতে পারেনি সান্তা ফে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু উসভ বিশ্বাস করেন যে, তার বন্ধুত্বপূর্ণ প্রাণীটি কারো সঙ্গে কষ্টকর যাত্রা করেছিলো।
“তবে আমি ধারণা করতে চাই যে, সে (সাশা) দুর্দান্ত আমেরিকা অ্যাডভেঞ্চারে ছিলো”-বলেন উসভ।
সান্তা ফে অ্যানিমেল শেল্টারের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুরাদ কিরদার বলেন, গল্পটি প্রাণীদের গলায় মাইক্রোচিপের গুরুত্ব তুলে ধরছে। এটি নিরাপদ উপায়।
তিনি বলেন, একটি সামান্য মাইক্রোচিপ, যেটি ধানের শীষের আকার। পোষা প্রাণীর ত্বকের নিচে যুক্ত করে দেওয়া হয়। এটি আমাদের বিড়ালের অভিভাবক খোঁজে পেতে সহায়তা করেছিলো। মাইক্রোচিপ হলো পোষ্য প্রাণী শনাক্তকরণের একমাত্র উপায়।
সাশাকে সঙ্গে নিয়ে সান্তা ফে’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মুরাদ কিরদার মঙ্গলবার আমেরিকান এয়ারলাইনসে করে পোর্টল্যান্ডে বিড়ালের মালিকের কাছে গেছেন।
বিমানের মুখাপাত্র বিবিসিকে জানায়, এই পুনর্মিলনের অংশীদার হওয়ার জন্য বিমান সংস্থা সম্মানিত। আমরা সাশার (বিড়াল) দীর্ঘ যাত্রার সফল সমাপ্তি হতে পেরে আনন্দিত।