কোচিং জাদুতে বিশ্বকে মুগ্ধ করে চলেছেন পেপ গার্দিওলা। আর পায়ের জাদুতে অল্পদিনেই তাকে মুগ্ধ করেছেন ফিল ফোডেন। যে কিশোরকে ম্যানচেস্টার সিটিতে ডেভিড সিলভার প্রকৃতিপ্রদত্ত উত্তরাধিকারী উল্লেখ করে ‘জাদুকর’ উপাধি দিয়েছেন তিনি। সেই ফোডেনকে ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ডেও বিক্রি করবেন না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন বায়ার্ন-বার্সেলোনার সাবেক কোচ।
কোচের মন জয় করে নিলেও এখন পর্যন্ত ইতিহাদে নিজের জায়গাটা নিয়মিত করতে পারেননি ১৯ বছরের ফোডেন। ব্রিটেনের একটি সম্মানিত একাডেমির স্নাতক ম্যানসিটিতে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি করলেও দলের অন্যান্য অভিজ্ঞ আন্তর্জাতিক তারকাদের কাছ থেকে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছেন।
চলতি মৌসুমে ১০টি ম্যাচের মধ্যে ছয়টিতেই শুরু থেকে খেলতে পারেননি ফোডেন। বাকি চার ম্যাচেও মাঠে সময় পেয়েছেন অল্প। এই কারণে অনেকের পরামর্শ, নিয়মিত মাঠে নামার জন্য অন্য কোথাও চলে যাওয়া উচিত ফোডেনের। সেটা ধারে হলেও।
তবে গার্দিওলা এটা স্পষ্ট করছেন যে, ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এ প্লে-মেকারই ম্যানসিটির ভবিষ্যৎ। ফলে অর্থের এমন কোনো পরিমাণ নেই যা সিটির সেই অবস্থানকে বদলে দিতে পারে।
‘পেপ’স সিটি: দ্য মেকিং অফ আ সুপারটিম’ নামে একটি বইয়ের সর্বশেষ সিরিয়ালে ‘দ্য সান’ গার্দিওলাকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে। তাতে গার্দিওলা বলেছেন, ‘আমরা দুর্ঘটনাক্রমে ফোডেনকে নতুন চুক্তিতে সই করাইনি।’
গার্দিওলা বলেছেন, ‘দলের তিনিই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি কোনো পরিস্থিতিতেই বিক্রি হওয়ার নয়। সেটা ৫০০ মিলিয়ন হলেও না। হি ইজ অনলি ওয়ান।’
ডেভিড সিলভার প্রসঙ্গ টেনে গার্দিওলার মন্তব্য, ‘ফিল কোথাও যাচ্ছে না, সে শুধুই সিটির। আমরা তার পজিশনে অন্য কাউকে সইও করাব না। ডেভিড সিলভা চলে গেলে, আমরা জানি আমাদের নতুন যাদুকর কে হবেন।’
জাদোন সানচো ও ব্রাহিম ডায়াজের মতো তরুণ ফুটবলারদের দলে আনা নিয়ে সম্প্রতি কথা বলছে ম্যানসিটি। তবে গার্দিওলা নিশ্চিত, একজন ইংলিশ ফুটবলার হিসেবে ফোডেন তার শিকড়ের প্রতি অনুগত থাকবেন এবং বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ক্লাব সিটিতেই বিশ্বসেরা হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ধৈর্য ধরবেন।
কাতালান কোচের কথায়, ‘সে আমাদের কাছে বেড়ে উঠেছে। সে আমাদেরই একজন এবং তার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হতে চলেছে, সে প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সেরা হতে যাচ্ছে। একটি জিনিস স্পষ্ট, সিটির প্রথম দলে ফোডেনের জায়গা আছে।’
শুধু তিনি নন, গার্দিওলা মনে করেন সিটির ডাগআউটে অন্যকেউ দাঁড়ালেও ফোডেনকে একইভাবে বিচার করা উচিত, ‘আমি যদি নাও থাকি, তবুও আমার জানার আগ্রহ থাকবে যে, অন্যকেউও ফোডেনকে বিকাশের সুযোগ দিয়েছেন কিনা। আমি তাকে নির্দিষ্ট কোনো ম্যাচ থেকে বাদ দিতে চাই না, তবে পুরো স্কোয়াডের কথাও ভাবতে হবে। ফিল সেটা বুঝতে পারে।’